খেতে ভাল, আবার পুষ্টিকরও, ১৫ মিনিটে রান্না হবে। এমন কোন খাবার স্কুল বা অফিসের টিফিনে দিতে পারেন? ছবি:ফ্রিপিক।
স্কুল হোক বা অফিস, টিফিনে কী দেওয়া যায় তা নিয়ে চিন্তার শেষ থাকে না গৃহিনীদের। খাবার তো শুধু দিলেই হল না, স্বাদ ভাল না লাগলে, খাবে না কেউই। আবার মুখরোচক কিছু দিতে হলে স্বাস্থ্য অবেহলিত হবে। তাই ভাবনা থাকে এমন কিছু বানানোর, যা পুষ্টিকর হওয়ার পাশাপাশি সুস্বাদুও হবে। রান্নাও হতে হবে দ্রুত।
টিফিনের জন্য বানিয়ে ফেলুন রকমারি চিলা। বেসন দিয়ে চিলা খাওয়ার রেওয়াজ। সেটি স্বাস্থ্যকরও। তবে স্বাদ বদলে, পাল্টে ফেলা যায় উপকরণ।
রাঙা আলুর চিলা: ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ে অনেকেই পাত থেকে বাদ দেন আলু। তবে আলু না খেলেও রাঙা আলু খেতেই পারেন। ফাইবার, ভাল মানের কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন এবং খনিজে ভরপুর সব্জিটি। রাঙা আলু সেদ্ধ করে চটকে নিন। একটি পাত্রে বেসন, রাঙা আলু, অল্প একটু সুজি, সামান্য হলুদগুঁড়ো, স্বাদমতো নুন, গোলমরিচ এবং পেঁয়াজ কুচি মিশিয়ে নিন। সমস্ত উপকরণ জল দিয়ে গুলে পাতলা মিশ্রণ তৈরি করুন। তার পর কড়াইয়ে অল্প তেল দিয়ে মিশ্রণটি পাতলা করে গোল আকারে ছড়িয়ে দিন। উল্টে-পাল্টে সেঁকে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে চিলা।
পনিরের চিলা: পনির গ্রেট করে , বেসন, সামান্য হলুদ গুঁড়ো, স্বাদমতো নুন দিয়ে মিশিয়ে নিন। যোগ করুন সামান্য সুজি। সমস্ত উপকরণ জল দিয়ে গুলে নিন। যোগ করুন কুচো করে কাটা পছন্দের সব্জি। তার পর তাওয়ায় তেল গরম করে মিশ্রণটি হাতায় করে দিয়ে দিন। হাতার সাহায্যে পাতলা করে নিন। আঁচ কমিয়ে অল্প তেলে উল্টোপাল্টে সেঁকে নিন।
কুমড়োর চিলা: ছোটদের সব্জি খাওয়ানো বেশ ঝক্কির। তাই কৌশলে কুমড়ো খাওয়াতে পারেন চিলা বানিয়ে। কুমড়ো সেদ্ধ করে মিক্সারে ঘুরিয়ে নিন। এর সঙ্গে বেসন, সুজি, স্বাদমতো নুন মিশিয়ে নিন। গোলমরিচ গুঁড়ো, পেঁয়াজ, ক্যাপসিকাম কুচি যোগ করুন। জল দিয়ে গুলে পাতলা মিশ্রণ তৈরি করুন। তাওয়ায় তেল গরম হলে মিশ্রণটি গোল করে ছড়িয়ে দিয়ে অল্প তেলে ভেজে নিন।