Avocado Sandwich Health Benefits

ডিম, পনির, অ্যাভোকাডোর স্যান্ডউইচ নিয়ে সমাজমাধ্যমে চর্চা, যতটা আলোচনা, ততটা স্বাস্থ্যকর কি?

ডিম, মাখন, চিজে ভরপুর স্যান্ডউইচ খান। বদলে সমাজমাধ্যমে চর্চিত অ্যাভোকোডা স্যান্ডউইচ খেলে কি বাড়তি পুষ্টি মিলবে?

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৪ জুন ২০২৫ ১৬:৫৪
অ্যাভাকোডো স্যান্ডউইচ নিয়ে যতটা চর্চা, ততটা কি স্বাস্থ্যকর এই খাবার?

অ্যাভাকোডো স্যান্ডউইচ নিয়ে যতটা চর্চা, ততটা কি স্বাস্থ্যকর এই খাবার? ছবি:স্মিতাকুল্লারিয়া.কম

কোনটা খাওয়া ভাল, কোনটা নয় সে ব্যাপারে সমাজমাধ্যমের পরামর্শ, ভিডিয়ো অনুসরণ করেন অনেকে। সে খাবার বিদেশি হলেও, হাতের কাছে উপকরণ মিললে, বানিয়ে ফেলেন কেউ কেউ। এমনই একটি খাবার নিয়ে চর্চা সমাজমাধ্যমে। অ্যাভোকাডো স্যান্ডউইচ। তাতে থাকবে ডিম এবং পনির। সেই ধারায় গা ভাসিয়ে প্রাতরাশের বাটার টোস্ট বদলে, অ্যাভোকাডো টোস্ট বা স্যান্ডউইচ খাচ্ছেন। কিন্তু এই খাবার সত্যি কতটা স্বাস্থ্যকর? ডায়াবেটিকদের জন্যেও ভাল কি?

Advertisement

সমাজমাধ্যমে চর্চিত কোন খাবার স্বাস্থ্যের পক্ষে কতটা ভাল, তা পরখ করে দেখেন সমাজমাধ্যমপ্রভাবী শরীরচর্চার প্রশিক্ষক করণ সারিন। অ্যাভোকোডো টোস্টে সেদ্ধ ডিম, পনির এবং সামান্য লেটুস যোগ করে স্যান্ডউইচ বানিয়েছিলেন তিনি। তার পর যন্ত্রের সাহায্যে পরীক্ষা করে দেখেন আগামী ২ ঘণ্টাতেও রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়েনি। সারিনের সিদ্ধান্ত, এটি অত্যন্ত কম কার্বোহাইড্রেট যুক্ত, উচ্চ মাত্রার প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার।

সমাজমাধ্যম প্রভাবীর এই দাবি কতটা সঠিক, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে। পুষ্টিবিদ শম্পা চক্রবর্তী বলছেন, ‘‘অ্যাভাকোডো বেশ দামি ফল ঠিকই, তবে কেউ কেউ সেটি খাচ্ছেনও এ দেশে। ফলটির পুষ্টিগুণ নিয়ে কোনও সংশয় নেই। অন্যান্য ফলের চেয়ে এতে ক্যালোরির পরিমাণ একটু বেশি। তবে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ তুলনামূলক ভাবে কম। এতে মেলে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, নানা রকম ভিটামিন যেমন বি, সি, বি৬ এবং বিভিন্ন খনিজও মেলে এতে। ডিম এবং পনির, দুই-ই ভাল। তবে স্যান্ডউইচের পাউরুটি কী দিয়ে তৈরি, সেটির উপর নির্ভর করবে স্বাস্থ্যগুণ। ময়দার রুটির বদলে ব্রাউন ব্রেড তুলনায় ভাল ।’’

উপকরণ এবং পুষ্টিগুণের বিচারে এই খাবারকে স্বাস্থ্যকর বলে চিহ্নিত করছেন হায়দরবাদের বেসরকারি হাসপাতালের পুষ্টিবিদ বিরালি সোয়েতা। তাঁর কথায়, উচ্চ কার্বোহাইড্রেট সম্পন্ন খাবারের তুলনায় এটি অনেক ভাল। এ খাবার ডায়েটে রাখলে চট করে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ভয় থাকে না। বরং এই স্যান্ডউইচকে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, প্রোটিন এবং ফাইবারের সঠিক সমন্বয় বলা চলে। রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখতেও তা সহায়ক।

অ্যাভোকাডোয় রয়েছে হার্টের পক্ষে ভাল মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং ফাইবার। যার ফলে, এই খাবার খেলে, হজম প্রক্রিয়া হয় ধীর গতিতে, কার্বোহাইড্রেট পুষ্টিগুণও ধীরে শোষিত হয়। ডিমে ভাল মানের প্রোটিন মেলে এবং পেট ভরাতেও তা সহায়ক। দিনভর ধীরে ধীরে খাবার হজম হয় এবং শক্তি নির্গত হয়। পুষ্টিবিদ বলছেন, খাবারটি স্বাস্থ্যকর তো বটেই ডায়াবেটিকদের জন্যেও অত্যন্ত ভাল।

তবে শম্পার কথায়, স্যান্ডুইউচে অ্যাভোকোডোর সঙ্গে ডিম, পনির যোগ করলে তাতে ক্যালোরির পরিমাণ অনেকটাই বেড়ে যাবে। কতটা ক্যালোরি শরীরের প্রয়োজন, তা বুঝে খেতে হবে। প্রাতরাশে খেতে হলে ৩০০-৩৫০ ক্যালোরি যথেষ্ট। ক্যালোরি কমাতে হলে পনির বাদ দিতে পারেন।

Advertisement
আরও পড়ুন