COPD Symptoms

কাশি সারছে না, রাতে শুলেই শ্বাসকষ্ট, ঠান্ডা লেগে অ্যালার্জি না সিওপিডির লক্ষণ, বুঝবেন কী ভাবে?

বর্ষার সময়ে এখন ভাইরাল জ্বর ঘরে ঘরে। সর্দিকাশিও ভোগাচ্ছে। তবে ছোট ছোট উপসর্গগুলি খেয়াল করতে বলছেন চিকিৎসকেরা। হতেই পারে তা ঠান্ডা লেগে কাশি বা অ্যালার্জি নয়, গোলমাল বেধেছে অন্য জায়গায়।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১২:১৯
What are the symptoms and prevention tips of COPD

সর্দিকাশি, অ্যালার্জি না সিওপিডি, লক্ষণ চিনবেন কী ভাবে? গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

প্রথমে হালকা কাশি, অল্প শ্বাসকষ্ট। শ্বাস নিতে গেলে বুকে ব্যথা। কাশির দমক বাড়লে শ্বাসের সমস্যাও আরও বাড়ে। এমন সব লক্ষণ দেখা দিলে নিছক সর্দিকাশি বা অ্যালার্জির সমস্যা ভেবে নেন বেশির ভাগই। গুগ্‌ল সার্চ করে অ্যান্টিবায়োটিকের নাম দেখে তা কিনে খেয়েও ফেলেন। তাতে সাময়িক ভাবে কষ্ট কমলেও, কিছু দিন পরে আবার যে কে সেই অবস্থা হয়। বর্ষার সময়ে এখন ভাইরাল জ্বর ঘরে ঘরে। সর্দিকাশিও ভোগাচ্ছে। তবে ছোট ছোট উপসর্গ খেয়াল করতে বলছেন চিকিৎসকেরা। হতেই পারে তা ঠান্ডা লেগে কাশি বা অ্যালার্জি নয়, গোলমাল বেধেছে অন্য জায়গায়।

Advertisement

শ্বাস বন্ধ হয়ে আসা, বেদম কাশি, বুকে চিনচিনে ব্যথার এই রোগের নাম ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজ়িজ় (সিওপিডি)। এই রোগ ক্রমেই বাড়ছে। তার কারণও আছে। যাঁরা ধূমপান করেন তাঁরা তো ঝুঁকিতে আছেনই, তা ছাড়া শহর জুড়ে দূষণের যা বাড়বাড়ন্ত, তাতে দূষিত কণা, ধুলোধোঁয়া, বিষাক্ত গ্যাস শ্বাসের সঙ্গে ঢুকে ফুসফুসের বারোটা বাজিয়ে দিচ্ছে। রিপোর্ট বলছে, বাতাসে অতি সূক্ষ্ম ভাসমান কণার পরিমাণ (পিএম ২.৫) সহনশীল মাত্রার থেকে প্রায় ৬ গুণ বেশি। ফলে শ্বাসের সমস্যা হচ্ছেই।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৫ সালে প্রায় ৩১ লক্ষ রোগীর মৃত্যু হয়েছে এই সিওপিডি-র কারণে। সিওপিডি নিয়ে ‘হু’ যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, তাতে উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ থাকছে। কারণ, ওই রিপোর্ট বলছে, ২০১৬ সালে সারা বিশ্বে এই রোগীর সংখ্যা ছিল ২৫ কোটি ১০ লক্ষ। প্রতি ১০ সেকেন্ডে সিওপিডি-তে আক্রান্ত হয়ে এক জন রোগীর মৃত্যু হচ্ছে।

কী কী লক্ষণ দেখে সাবধান হবেন

সিওপিডি হওয়া মানেই ফুসফুসের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে শুরু করে। ক্রমাগত কাশি, রাতে কাশির কারণে ঘুম ভেঙে যাওয়া, সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করতে হলে বুকে চাপ অনুভব করা, মাঝেমধ্যেই শ্বাসকষ্ট, বিশেষ করে রাতে ঘুমোতে গেলে হঠাৎ করে শ্বাস বন্ধ হয়ে আসার মতো লক্ষণ দেখা দিতে পারে। তা ছাড়া বুকে ঘন ঘন কফ জমে সর্দিকাশি হতে পারে। দিনের পর দিন এমন চলতে থাকলে সাবধান হতে হবে।

ওষুধ খান নিয়ম মেনে

পালমোনারি ফাংশন টেস্ট করলে বোঝা যায় সিওপিডি কোন পর্যায় রয়েছে। সেই মতো ওষুধ দেওয়া হয় রোগীদের। সিপিডির রোগীদের অতি অবশ্যই ওষুধ নিয়ম করে খেতে হবে।

প্রয়োজন হলে প্রতি বছর ফ্লু-এর প্রতিষেধক নেওয়া জরুরি। বিশেষ করে নিউমোকক্কাল নিউমোনিয়ার টিকা নিতে হবে।

অনেক সময় ওষুধে কাজ না করলে, রোগ বাড়াবাড়ির পর্যায়ে গেলে কৃত্রিম শ্বাসযন্ত্রের সাহায্য নিতে হয়। অক্সিজেন থেরাপিও জরুরি।

ফুসফুস ভাল রাখতে প্রতি দিন অন্তত ৩০ মিনিট সময় রাখতে হবে শরীরচর্চার জন্য। ডিপ ব্রিদিং অতি অবশ্যই করতে হবে। নিয়মিত হাঁটা স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। এতে ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।

Advertisement
আরও পড়ুন