Walking For Health

ভোরবেলা উঠতে পারেন না, দিনের ঠিক কোন সময়ে হাঁটলে একই রকম উপকার পাবেন?

এত দিন জানা ছিল, ভোরে হাঁটলে নাকি দ্রুত ওজন কমে। তাই অনেকেকই দেখবেন, কার্ডিয়ো বা ভারী ব্যায়াম না করলেও প্রাতর্ভ্রমণ ঠিক করেন। এখন কথা হল, ভোরে হাঁটলেই কি ওজন কমবে?

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২৫ ১৮:২৫
What is the best time to walk for health

ভোরবেলা উঠতে পারেন না, ঠিক কোন সময়ে হাঁটলে বেশি উপকার হবে? ছবি: ফ্রিপিক।

হাঁটলে শরীর ভাল থাকে, এই নিয়ে কোনও দ্বিমতই নেই। হাঁটাহাঁটির উপকারিতা যে কত, তা একবাক্যে মেনে নেন চিকিৎসক থেকে ফিটনেস প্রশিক্ষক, পুষ্টিবিদ সকলেই। আর ভোরে উঠে হাঁটলে শরীর ও মন ভাল থাকে, সে নিয়েও কোনও সন্দেহ নেই। প্রকৃতির সান্নিধ্যে কিছু ক্ষণ হাঁটাহাঁটি করলে মানসিক চাপও অনেক কমে যায়। কিন্তু কথা হল, ভোরবেলা অনেকেই ঘুম থেকে উঠতে পারেন না। ফলে প্রাতভ্রমণের শখ অধরাই থেকে যায়। তবে এর জন্য চিন্তা করে লাভ নেই। কারণ দিনের অন্য সময়ে হাঁটলেও উপকার পাবেন। তবে হাঁটতে হবে নিয়ম মেনে ও সঠিক সময়ে।

Advertisement

১০ হাজার পা হাঁটা নিয়ে খুব চর্চা হচ্ছে চারদিকে। প্রতি দিনে ১০ হাজার পা হাঁটতেই হবে, এমন কথা নেই। যদি খাওয়ার পরে ১০-১৫ মিনিট হাঁটেন, তা হলে যেমন হজম ভাল হবে, তেমনই মেদ জমবে না শরীরে। আর রক্তে শর্করার পরিমাণও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। ডায়াবেটিকদের জন্যও এই অভ্যাস খুবই ভাল।

খেয়ে উঠে হাঁটারও কিন্তু নিয়ম আছে। খাওয়ার পরেই অনেকে হাঁটতে বেরোন। মিনিট ১৫ বা ৩০ কেউ জোরে হাঁটেন কেউ আবার পায়াচারিও করেন। তবে কারও কারও ভরপেট খাওয়ার পরেই হাঁটলে শরীরে অস্বস্তি হয়। পেটেও কষ্ট হয়। সে ক্ষেত্রে বিরতি নিয়ে হাঁটা ভাল। একটানা ৫ মিনিট হাঁটার পরে একটু থামুন। কিছুটা জল খেয়ে নিন। তার পরে আবার হাঁটুন।

হাঁটারও নানা ধরন আছে। স্বাভাবিক গতির চেয়ে দ্রুত গতিতে হাঁটার নাম হল ‘পাওয়ার ওয়াকিং’। অর্থাৎ, এমন ভাবে হাঁটতে হবে যেন হার্ট রেট বা হৃদ্‌স্পন্দন বেড়ে যায়। তবেই ক্যালোরি ঝরবে। একটানা এই ভাবে হাঁটলে অনেক সময়ে শ্বাস নিতে কষ্ট হতে পারে। তাতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। একটানা দ্রুত গতিতে হাঁটলেন মিনিট চারেক। তার পর হাঁটার গতি কমিয়ে দিলেন। মিনিট দুয়েক এই ভাবে হাঁটলেন। শরীরের অবস্থা বুঝে আবার গতি বাড়িয়ে দিলেন। এই ভাবে হাঁটলেও কিন্তু ক্যালোরি পোড়ে। ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।

Advertisement
আরও পড়ুন