Silent Heart Attack Symptoms

পিঠ-কোমর, চোয়ালে ব্যথাও হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ হতে পারে? নীরব ঘাতকের অজানা উপসর্গ চিনুন

নীরবে শরীরে বাসা বাঁধলেও, এর কিছু অদ্ভুত লক্ষণ প্রকাশ পেতে থাকে এক সপ্তাহ বা এক মাস ধরে। সেই সব লক্ষণ যে হৃদ্‌রোগের কারণ হতে পারে, তা বোঝা যায় না অনেক সময়েই।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০২৫ ১৩:৩৮
What is the most important and common warning sign of Silent Heart Attack

এক মাস ধরে দেখা দেবে এমন কিছু লক্ষণ, যা আপনি রোজের গ্যাস-অম্বল বা পেশির টান বলে ভুল করবেন। ছবি: ফ্রিপিক।

হার্ট অ্যাটাক বলেকয়ে আসবে তা নয়। আচমকাই হানা দিতে পারে যখন-তখন। তবে সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাকের কিছু বৈশিষ্ট্য আছে। নীরবে শরীরে বাসা বাঁধলেও, এর কিছু অদ্ভুত লক্ষণ প্রকাশ পেতে থাকে এক সপ্তাহ বা এক মাস ধরে। সেইসব লক্ষণ যে হৃদ্‌রোগের কারণ হতে পারে, তা বোঝা যায় না অনেক সময়েই। ফলে সতর্ক হওয়ার সময়টুকু পাওয়া যায় না। ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেল্‌থ’-এর গবেষণায় এমনই কিছু অজানা লক্ষণের কথা উঠে এল।

Advertisement

যখন-তখন ক্লান্তি

রাতে ঘুমিয়েও সকালে ক্লান্তি যাচ্ছে না। পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়ার পরেও ঝিমুনি আসছে, এমন লক্ষণ দেখা দিলে সতর্ক হতে হবে। দিনভর পরিশ্রমের পরে ক্লান্তি একরকম, আর সব সময়েই ঝিমুনি, শরীরে অস্বস্তি, মাথাব্যথা হতে থাকলে বুঝতে হবে তা আরও বড় কোনও রোগের ইঙ্গিত হতে পারে। দিনের পর দিন যদি ক্লান্তি ভাব বাড়তেই থাকে তা হলে সবার আগে ইসিজি করিয়ে নেওয়া উচিত।

শরীরের নানা জায়গায় ব্যথা

হৃদ্‌রোগ মানে যে কেবল বুকে ব্যথা হবে তা নয়। নীরব হার্ট অ্যাটাকের ক্ষেত্রে শরীরের আরও কিছু জায়গায় ব্যথা হয়, যেমন হাত, পিঠ, গলা, কোমর ও চোয়াল। এই সব জায়গায় ব্যথা হলে অনেকেই পেশির ব্যথা ভেবে এড়িয়ে যান।

ঠান্ডা ঘরে বসেও ঘাম

রাতে শুয়ে দরদর করে ঘাম, ঠান্ডা ঘরে বসেও ঘামতে থাকার লক্ষণ মোটেই ভাল নয়।

অ্যাসিড রিফ্লাক্স

মাঝেমধ্য়েই পেটের গোলমাল, হাইপার অ্যাসিডিটি, অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা হলেও সাবধান হতে হবে।

ঘুমের সমস্যা

মাসখানেক ধরে যদি ঘুম কম হয়, বারে বারে ঘুম ভেঙে যেতে থাকে, ঘুমের মধ্য়ে শ্বাস নিতে সমস্যা হয়, তা হলে সাবধান হতে হবে।

হার্টের রোগ তলে তলে মাথাচাড়া দিচ্ছে কি না, তা নির্ণয় করার অনেকগুলি পরীক্ষা আছে। কিন্তু সেই সব পরীক্ষা যেমন অ্যাঞ্জিয়োগ্রাম, ইলেকট্রোকার্ডিয়োগ্রাম, ইকোকার্ডিয়োগ্রাম, স্ট্রেস টেস্ট, কার্ডিয়াক এমআরআই-এর নাম শুনলেই আতঙ্কে ভোগেন অনেকে। তাই এই সবের চেয়ে আর একটু সহজ আর একটি কার্ডিয়ো টেস্ট আছে, যার নাম তেমন ভাবে চেনা নয়। সেই পরীক্ষাটি হল ‘সিটি ক্যালশিয়াম স্কোর’ টেস্ট। হার্টে ব্লকেজ হচ্ছে কি না, তা আগাম ধরতে এই পরীক্ষাটি করানো যেতে পারে। বিশেষ করে কমবয়সিদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে এই মেডিক্যাল পরীক্ষাটি। সেই সঙ্গেই জীবনযাপনে নিয়ন্ত্রণ আনা জরুরি। সুষম খাবার খাওয়া, জাঙ্ক ফুড কম খাওয়া, নিয়মিত শরীরচর্চা করাও হার্ট ভাল রাখবে।

Advertisement
আরও পড়ুন