Sidharth Malhotra Parenting Tips

কিয়ারা মেয়েকে স্তন্যপান করায় আর আমি পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করি: সিদ্ধার্থের ভূমিকা কেন শিক্ষণীয়

নতুন প্রাণের যত্নআত্তির সঙ্গে ধীরে ধীরে পরিচিত হচ্ছেন বলিউড অভিনেতা সিদ্ধার্থ মলহোত্র। বাবা হওয়া যে মুখের কথা নয়, তা টের পেয়ে গিয়েছেন এই স্বল্প সময়ের মধ্যেই।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০২৫ ১৮:১১
কিয়ারা-সিদ্ধার্থের অভিভাবকত্বের খুঁটিনাটি।

কিয়ারা-সিদ্ধার্থের অভিভাবকত্বের খুঁটিনাটি। ছবি: সংগৃহীত।

মাত্র দেড় মাসের পিতৃত্ব। একটি নতুন প্রাণের যত্নআত্তির সঙ্গে ধীরে ধীরে পরিচিত হচ্ছেন বলিউড অভিনেতা সিদ্ধার্থ মলহোত্র। বাবা হওয়া যে মুখের কথা নয়, তা টের পেয়ে গিয়েছেন এই স্বল্প সময়ের মধ্যেই। সন্তানের সঙ্গে সঙ্গে অভিনেত্রী কিয়ারা আডবাণীর জীবন, সময়সূচি ঠিক যে ভাবে বদলে গিয়েছে, সিদ্ধার্থের অবস্থাও তেমনই হয়েছে। সম্প্রতি ‘দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো’-এ পিতৃত্বের অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন নায়ক।

Advertisement

সিদ্ধার্থ মজার ছলে নিজেকে তাঁর স্ত্রী কিয়ারার (মুখ্য চরিত্র) পার্শ্বচরিত্র বললেন। তাঁদের যাপনেরই রোজের ঘটনা, ভোর ৪টে নাগাদ ঘুম থেকে উঠে সদ্যোজাতকে স্তন্যপান করান কিয়ারা। আর সেখানে পাশে দাঁড়িয়ে বা বসে থাকেন সিদ্ধার্থ। যেন কোনও ছবির পার্শ্বচরিত্র। সরাসরি ভূমিকা নেই, কিন্তু না থাকলেও চলবে না। সিদ্ধার্থ এর আগে জানান, কন্যাসন্তানের জন্মের পর থেকে তাঁর জীবন সম্পূর্ণ ভাবে বদলে গিয়েছে। নাওয়া-খাওয়া থেকে ঘুম, সব কিছুই সন্তানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে করতে হচ্ছে। পাশাপাশি, ডায়াপার বদলানো, ডায়াপারহীন মুহূর্ত সামলানো, সব রকম অভিজ্ঞতার সাক্ষী এখন সিদ্ধার্থ।

সন্তানের স্তন্যপানের সময়ে কেবল মায়েদের নয়, প্রয়োজন বাবাদেরও।

সন্তানের স্তন্যপানের সময়ে কেবল মায়েদের নয়, প্রয়োজন বাবাদেরও। ছবি: সংগৃহীত।

অনেকেই মনে করেন, স্তন্যপানে বাবাদের আবার কী প্রয়োজন! তাই যখন তখন ঘুম ভেঙে উঠে পড়ার বা কাজ ছেড়ে উঠে আসার অথবা পাশাপাশি থাকারও প্রয়োজন নেই। কিন্তু সদ্যোজাত সন্তানকে খাওয়ানোর সময়ে মায়ের পাশাপাশি বাবাদের উপস্থিতিও প্রয়োজন। প্রথমত, সন্তান জন্ম দেওয়ার ঝড় বয়ে যায় মায়েদের উপর দিয়ে। তখন সব সময়ে কোনও সঙ্গীর প্রয়োজন। দ্বিতীয়ত, মাকে যথাসম্ভব বিশ্রাম দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে স্তন্যপানের সময়ে। তৃতীয়ত, শিশুর সুবিধার জন্যও স্তন্যপানের সময়ে বাবাদের দরকার পড়ে।

‘আমেরিকান অ্যাকাডেমি অফ পেডিয়াট্রিকস’-এর এক গবেষণায় নানা রকম সমীক্ষা করে তার পর দাবি করা হয়েছিল, স্তন্যপানে বাবাদের দায়িত্ব শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। মধ্যরাত বা ভোরে দুধ খাওয়ানোর সময়ে শিশুকে বিছানায় মায়ের কাছে নিয়ে আসা। কোলে শুইয়ে দেওয়া থেকে খাওয়ানোর পর শিশুকে আবার ঘুম পাড়িয়ে দেওয়া। খাওয়ানোর আগে বা পরে অন্যান্য কাজে মুখ্য ভূমিকা নেওয়ার দরকার পড়ে। যেমন ঢেকুর তোলানো বা শিশুর ডায়াপার পরিবর্তন করা। পাশাপাশি, বাবা যদি সরাসরি খাওয়ানোর সঙ্গে জড়িত না-ও থাকেন, তবু মাকে আরও বিশ্রাম নিতে সাহায্য করা যেতে পারে। তা ছাড়া বাবা ও সন্তানের বন্ধন দৃঢ় হতে পারে এর মাধ্যমে। রাতে ঘুম থেকে উঠে শিশুর যত্ন নেওয়া বাবাকে নবজাতকের সঙ্গে আরও মজবুত সম্পর্ক গড়ে তুলতে সাহায্য করতে পারে।

Advertisement
আরও পড়ুন