ছবি : সংগৃহীত।
লঙ্কার গন্ধ পুরোমাত্রায় আছে অথচ ঝাল একটুও নেই। দেখতে ভাল, স্বাদে ভাল আবার খানিক রসালোও। হয়তো সে জন্যই শীতে যখন ক্যাপসিকাম সহজলভ্য হয়, তখন অনেকেই নানা রান্নায় সুযোগ পেলেই তা ব্যবহার করেন। সে চিনা খাবারের সয়া সস গোলমরিচ হোক বা খাঁটি বাঙালি জিরে-আদাবাটা দেওয়া তরকারি ক্যাপসিকাম নিজেকে ঠিক মানিয়ে গুছিয়ে নেয়। শুধুই ক্যাপসিকাম দিয়ে রান্না দই ক্যাপসিকাম, ক্যাপসিকামের ভর্তা, ক্যাপসিকামের চপের মতো খাবারের উদ্ভাবনও হয়েছে। আর তাতে ক্ষতি নেই কিছু। কারণ পুষ্টিবিদেরা বলছেন, ক্যাপসিকাম এতটাই উপকারী যে, তা যত বেশি খাওয়া যায় ততই ভাল।
ওজন কমাতে সহায়ক
ক্যাপসিকামে ক্যালোরি খুব কম এবং ফাইবার বেশি। এটি মেটাবলিজম বা বিপাকের হার বাড়িয়ে দেয়। যা শরীরের অতিরিক্ত চর্বি দূর করতে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে কার্যকর।
ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি
শীতের এই সব্জিতে রয়েছে ভিটামিন সি এবং কোলাজেন তৈরির নানা পুষ্টিগুণ। তাই ত্বকের বলিরেখা দূর করতে এবং ত্বকের টানটান ভাব ধরে রাখতে ক্যাপসিকাম কাজে দেয়।
হার্ট ভালো রাখে
ক্যাপসিকামে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকিও কমাতে পারে।
চোখের স্বাস্থ্য
ক্যাপসিকামে রয়েছে লুটেইন এবং জেক্সানথিন। যা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে চোখের রেটিনাকে বাঁচাতে পারে। নিয়মিত ক্যাপসিকাম খেলে চোখে ছানি পড়ার ঝুঁকি কমে।
হজম শক্তি বৃদ্ধি
ক্যাপসিকামে থাকা ডায়েটারি ফাইবার হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে। দূর করে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও ফলে অন্ত্র ভাল থাকে। দূরে থাকে পেটের নানা রোগ।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
ক্যাপসিকামে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। বিশেষ করে শীতের নানা অসুখ দূরে রাখে।
আয়রনের মাত্রা বাড়ে
আয়রনের অভাব হলে শরীরে রক্তাল্পতা বাড়ে। শরীরের কোষে কোষে অক্সিজেন পৌঁছনোর যে পদ্ধতি তা-ও ব্যহত হয়। ফলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। ক্যাপসিকামে থাকা ভিটামিন সি খাবার থেকে আয়রন শোষণ করতে সাহায্য করে। মাংস বা ডালের সাথে ক্যাপসিকাম রান্না করলে, তা থেকে খাবারে থাকা সম্পূর্ণ আয়রন শরীরে পৌঁছে দিতে সাহায্য করে।
মনে রাখা ভাল
ক্যাপসিকামের পুষ্টিগুণ বজায় রাখতে এটি খুব বেশি সময় ধরে বা উচ্চ তাপমাত্রায় রান্না না করাই ভালো। হালকা সঁতে করে বা রান্নার শেষের দিকে ক্যাপসিকাম দিলে এর ভিটামিন এবং অন্য পুষ্টিগুণ অটুট থাকে।