জল খেতে ভাল লাগে না, নিয়ম করে আর কী খাওয়া যায়? ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।
শীতকাল মানেই জল খাওয়ায় টাল-বাহানা। তা সে শিশু হোক বা বড় কিংবা বয়স্ক। এই মরসুমে রোদে ঘুরলেও ঘামের বালাই নেই।তা ছাড়া ঠান্ডার দিনে ঠান্ডা জল বা শরবত খেতেও তেমন মন চায় না। অথচ গরম হোক বা শীত— জলই কিন্তু জীবন। এ শুধু কথার কথা নয়। জল শারীরবৃত্তীয় নানা কাজকর্মের জন্য অপরিহার্য। পর্যাপ্ত জল না খেলে তার প্রভাব পড়ে নানা প্রত্যঙ্গে। নিয়মিত জলের ঘাটতি হতে থাকলে শরীর খারাপ হতে বাধ্য।
তা হলে কোনও উপায়ে শীতের জল খাওয়া ঠিক রাখবেন?
১। গরমকালে যদি সকালটা মৌরি-মেথি ভেজানো জলে শুরু করেন, শীতে থাকুক ঈষদুষ্ণ লেবু-মধুর জল। লেবু খেয়ে অম্বল হওয়ার ধাত থাকলে হালকা গরম জল খেয়ে নিন এক গ্লাস। চাইলে মৌরি ভেজানো জল, তিসি বা চিয়া ভেজানো জল খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন।
২। চা-কফি দিয়ে সকাল শুরু হয় অনেকেরই। তবে দিনভর জলের ঘাটতি পূরণে মাঝেমধ্যে চুমুক দিন ভেষজ চায়ে। তুলসী, আদা, লবঙ্গ, গোলমরিচ জলে ফুটিয়ে ছেঁকে নিন। মধু যোগে চায়ের মতো খান। চা-পাতা নেই বলে ক্যাফিন, ট্যানিন শরীরে যাবে না। অথচ এই পানীয়ে হজম ভাল হয়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।
৩। শিশু হোক বা বড়— নানা রকম শেক খেতে সকলেরই ভাল লাগে। দুধ, কলা, বাদাম বা দুধের সঙ্গে পছন্দের ফল এবং বাদাম দিয়ে শেক বানিয়ে দিন। বড়রা যোগ করতে পারেন কফিও। খেতে ভাল আবার পুষ্টিকরও। একই সঙ্গে জলের অভাব পূরণেও সাহায্য করবে। তবে দিনে একবারই যথেষ্ট। টাটকা রসালো ফল খেলেও শরীরের জল পৌঁছবে।
৪। সব সময় নিয়ম করে পানীয়ে চুমুক দিতে ভাল লাগে না। তবে ডায়েটে ডাল, পাতলা ঝোল কিংবা মুরগির মাংস অথবা সব্জির স্ট্যু রাখতে পারেন। এই ধরনের খাবার পুষ্টিকর তো বটেই, শরীরে জলের জোগানও দেবে।
৫। শীতের দিনে গরম গরম স্যুপ যথেষ্ট উপাদেয়। হালকা নৈশ আহার সারতে হলে আমিষ অথবা নিরামিষ নানা রকম স্যুপ জুড়ে নিন। সান্ধ্য আহারে কিংবা প্রাতরাশেও একবাটি স্যুপ রাখতে পারেন।