Vastu Tips

ঘরের দেওয়ালে কেমন আকৃতির ঘড়ি ঝোলানো শুভ? ঘড়ির সময় এগিয়ে রাখা কি অশুভ? খোঁজ দিলেন জ্যোতিষী

বাড়িতে যদি ভুল দিকে দেওয়ালঘড়ি রাখা হয়, তা হলে আমাদের ভাগ্যের উপর সেটির নেগেটিভ প্রভাব পড়ে। তাই বাড়ির জন্য দেওয়ালঘড়ি বেছে নেওয়ার পূর্বে বিশেষ কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি।

Advertisement
বাক্‌সিদ্ধা গার্গী
শেষ আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০২৫ ১৫:৩১
wall clock

ছবি: (এআই সহায়তায় প্রণীত)।

প্রায় সকলের বাড়িতেই একটা হলেও দেওয়ালঘড়ি ঝোলানো থাকে। আমাদের সুবিধার জন্যই আমরা দেওয়ালে ঘড়ি ঝোলাই। এতে সময়ের উপর নজরদারি রাখা যায়। তবে বাস্তুশাস্ত্র মতে, দেওয়ালঘড়ি আমাদের ভাগ্যের সময়ও নির্ধারণ করে। বাড়ির কোন দিকে, কেমন ধরনের দেওয়ালঘড়ি টাঙানো হচ্ছে তার উপর অনেক কিছু নির্ভর করে। বাড়িতে যদি ভুল দিকে দেওয়ালঘড়ি রাখা হয়, তা হলে আমাদের ভাগ্যের উপর সেটির নেগেটিভ প্রভাব পড়ে। তাই বাড়ির জন্য দেওয়ালঘড়ি বেছে নেওয়ার পূর্বে বিশেষ কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি।

Advertisement

ঘড়ি রাখার ব্যাপারে কোন জিনিসগুলি মাথায় রাখবেন?

আকৃতি: বাড়ির জন্য গোলাকার, অষ্টভুজাকার, পেন্ডুলাম ও ডিম্বাকার ঘড়ি শুভ বলে মনে করা হয়। এগুলির মধ্যে সবচেয়ে শুভ হয় বৃত্তাকার বা গোলাকার ঘড়ি। এই ঘড়ি যে কোনও ঘরে ঝোলানো যেতে পারে। এতে বাড়ির সদস্যদের মধ্যে সম্পর্কের দৃঢ়তা বজায় থাকে বলে বিশ্বাস করা হয়। পেন্ডুলাম ঘড়ি বসার ঘরে রাখা যেতে পারে। শোয়ার ঘরে এই ঘড়ি রাখা উচিত হবে না বলে জানাচ্ছে বাস্তুশাস্ত্র। এতে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের বন্ধন হালকা হয়।

দিক: বাড়ির উত্তর দিক বা পূর্ব দিকের দেওয়ালে ঘড়ি টাঙানো শুভ বলে মনে করা হয়। এতে অর্থভাগ্যের উন্নতি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়িতে পজ়িটিভ শক্তির পরিমাণও বৃদ্ধি পায়। তবে বাড়ির দক্ষিণ দিকের দেওয়ালে ঘড়ি ঝোলানো যাবে না। এতে বাস্তুতে নেগেটিভ শক্তির পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। এ ছাড়া, বাড়ির সদর দরজার উপরও ঘড়ি ঝোলানো উচিত নয় বলে মনে করছে বাস্তুশাস্ত্র। এতে বাড়ির নেগেটিভ শক্তির পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।

ডায়েল: রংচঙে, নানা রকমের নকশা করা বা ছবি আঁকা ডায়েলের ঘড়ি বাড়িতে রাখা উচিত নয়। এতে জীবনে জটিলতা বৃদ্ধি পায় বলে মনে করা হয়। স্বচ্ছ, সাদা বা অন্যান্য হালকা রঙের ডায়েলের ঘড়ি ঘরে টাঙানো যেতে পারে। শোয়ার ঘরে ঘড়ি কখনও মাথার উপর রাখতে নেই। এতে কাজ করার ইচ্ছাশক্তি কমে যায়। ঘড়ির কাচ যদি ভাঙা হয়, তা হলে সেটিকেও বাতিল করে দেওয়া উচিত।

সময়: ঘড়ির সময় কখনও অতিরিক্ত এগিয়ে বা পিছিয়ে রাখতে নেই। এক-দু’মিনিটের বেশি ঘড়ির সময় এগোনো বা পিছোনো উচিত নয়। এ ছাড়াও বন্ধ বা খারাপ ঘড়ি বাড়িতে কখনও জমিয়ে রাখতে নেই। এতে ভাগ্যের উপর কুপ্রভাব পড়ে। ঘড়ি যদি বন্ধ হয়ে যায় তা হলে তৎক্ষণাৎ সেটিকে ঠিক করা উচিত। নইলে জীবনের অগ্রগতি থমকে যেতে পারে।

Advertisement
আরও পড়ুন