Shani Negative Impact

কণ্টক শনি কি সত্যিই ভয়ঙ্কর? কোষ্ঠীর কোন ঘরে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়? ফলাফল কী? এর থেকে বাঁচার কোনও উপায় আছে?

শনি ধীর গতির গ্রহ। অন্যান্য গ্রহের তুলনায় এক রাশিতে বেশি সময় অবস্থান করে। বেশি সময় অবস্থান করার কারণে শুভ বা অশুভ, যে কোনও প্রভাবই দীর্ঘ সময় ধরে দান করে।

Advertisement
সুপ্রিয় মিত্র
শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২৫ ০৭:২১
saturn

—প্রতীকী ছবি।

জ্যোতিষশাস্ত্রে গ্রহদের শুভ এবং অশুভ, দু’টি ভাগে ভাগ করা হয়। শনি গ্রহকে অশুভ গ্রহের দলে রাখা হয়। শনি ধীর গতির গ্রহ। অন্যান্য গ্রহের তুলনায় এক রাশিতে বেশি সময় অবস্থান করে। বেশি সময় অবস্থান করার কারণে শুভ বা অশুভ, যে কোনও প্রভাবই দীর্ঘ সময় ধরে দান করে।

Advertisement

জন্মকালীন চন্দ্রের অবস্থান থেকে অষ্টম স্থানে শনির অবস্থানকে অষ্টম শনি বা কণ্টক শনি এবং চতুর্থ স্থানে শনির অবস্থানকে অর্ধঅষ্টম শনি বা অর্ধকণ্টক শনি বলে।

শনি গ্রহ যেখানে বসে, সেই অবস্থান থেকে সপ্তম তো অবশ্যই, সপ্তম ছাড়াও তৃতীয় এবং দশমে বিশেষ দৃষ্টি দান করে। এই কারণে শনির চতুর্থে অবস্থানকালে চতুর্থ স্থানের সঙ্গে ষষ্ঠ এবং দশম স্থানকেও প্রভাবিত করে।

চতুর্থ স্থান বাড়ি, মা, জ্ঞান, যানবাহন ইত্যাদির স্থান। ষষ্ঠ স্থান শত্রু, মামলা-মোকদ্দমা, চোট, দুর্ঘটনা, খারাপ কাজ, কুচিন্তা, দুশ্চিন্তা, রোগ, মানহানি, অপমান ইতাদি খারাপ জিনিসের জন্য দায়ী।

শনি অষ্টমে অবস্থানকালে অষ্টম ছাড়াও দশম, দ্বিতীয় এবং পঞ্চম স্থান প্রভাবিত করে। দ্বিতীয় স্থান আয়, বাক্‌শক্তি, প্রতিবেশী প্রভৃতির সঙ্গে সম্পর্কিত। পঞ্চম স্থান সন্তান ও শিক্ষার সঙ্গে সম্পর্কিত। শনি অষ্টমে অবস্থানকালে এই সমস্ত বিষয়ে অশুভ প্রভাব ফেলে।

এই সময়কালে সরকার দ্বারা বিভ্রান্তি, জমা অর্থ ব্যয়, গৃহ বা স্থাবর সম্পত্তির মালিকানাহানি, হাজতবাস বা হসপিটালবাস, স্ত্রী বা স্বামীর সঙ্গে বিবাদের কারণে বিচ্ছেদ, পশু দ্বারা আক্রমণ, সর্পদংশন, ভ্রমণকালে দুর্ঘটনা, বিদ্যাশিক্ষায় বিঘ্ন ইত্যাদি ঘটার আশঙ্কা প্রবল।

একটি বিষয় মনে রাখা প্রয়োজন, কণ্টক শনি যে সকলের ক্ষেত্রেই ক্ষতিকারক বা উপরিউক্ত সমস্ত বিষয় যে ঘটবেই, তা কিন্তু নয়। এটি নির্ভর করে রাশিচক্রের বিভিন্ন গ্রহের অবস্থান, শুভ গ্রহের দৃষ্টি এবং দশা-মহাদশার উপর।

প্রতিকার:

শনি গ্রহের সবচেয়ে ভাল প্রতিকার হল সাত্ত্বিক এবং সৎ জীবনযাপন। এই সময়কালে নিষ্ঠাভরে শনিদেব, দক্ষিণা কালী এবং দেবাদিদেব মহাদেবের উপাসনা করতে হবে। প্রয়োজনে অভিজ্ঞ জ্যোতিষীর পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।

Advertisement
আরও পড়ুন