(বাঁ দিকে) খুনের অভিযোগে গ্রেফতার বিলাল। লিভ ইন সঙ্গী উমা (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
কাজের সূত্রে বাড়ির বাইরে থাকতেন যুবক। সেখানেই এক যুবতীর সঙ্গে আলাপ-পরিচয় এবং প্রেম। গত ২ বছর হল এক ছাদের নীচে থাকতেন তাঁরা। কিন্তু বাড়ি থেকে পাত্রী দেখতেই বিয়েতে রাজি হয়ে গেলেন সেই যুবক। লিভ ইন সঙ্গী বাধা দিতেই তাঁকে খুন করে দেন। শুধু তা-ই নয়, খুনের পর গ্রামের বাড়ি ফিরে নিজের বিয়ের তোড়জোড় শুরু করেছিলেন অভিযুক্ত। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরে।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তের নাম বিলাল। পেশায় ট্যাক্সিচালক ওই যুবক লিভ ইন সঙ্গী উমাকে খুন করেন বাড়ির পছন্দের মেয়েকে বিয়ে করবেন বলে। রবিবার হরিয়ানার কালেসার জাতীয় উদ্যানে থেকে বছর ত্রিশের এক যুবতীর মুন্ডুহীন দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে জানা যায়, তার নাম-পরিচয়।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, গত ৬ ডিসেম্বর সাহারানপুরের একটি রাস্তা থেকে লিভ ইন সঙ্গীকে নিজের গাড়িতে তুলে নিয়েছিলেন বিলাল। তার পর ৬ ঘণ্টা গাড়ি চালিয়ে তাঁরা পৌঁছে যান হরিয়ানার কালেসার জাতীয় উদ্যানে। সেখানে ঘুরতে ঘুরতে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে উমাকে খুন করেন বিলাল। পুলিশ যাতে দেহ শনাক্ত করতে না পারে, সে জন্য ধড় থেকে মাথা আলাদা করে অন্যত্র ফেলে দিয়েছিলেন তিনি। তার পর গাড়ি চালিয়ে চলে যান গ্রামের বাড়ি। রবিবার দেহ উদ্ধারের পরে বিভিন্ন সূত্র ধরে অভিযুক্তের বাড়িতে পৌঁছোয় পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় ট্যাক্সিচালককে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতা বিবাহিতা। তবে স্বামী পরিত্যক্তা। ১৩ বছরের পুত্রকে নিয়ে সাহারানপুরে থাকতেন। সেখানেই বিলালের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। প্রায় ২ বছর ধরে লিভ ইন করছিলেন তাঁরা। কিন্তু বাড়ি থেকে বিয়ের কথা বলতেই লিভ ইন সঙ্গীকে ছেড়ে দিতে চান বিলাল। এ নিয়ে যুগলের অশান্তি হয়।
অন্য মহিলাকে বিয়ে করবেন বলে লিভ ইন সঙ্গীকে খুনের পরিকল্পনা করেন বিলাল। ঝগড়া মিটমাট করার কথা বলে প্রেমিকাকে নিয়ে ঘুরতে বার হন। তার পর তাঁকে খুন করেন।
উমার পুত্র জানান, দিন পনেরো আগে মায়ের সঙ্গে তার শেষ বার দেখা হয়েছে। বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় কিছু জামাকাপড় নিয়েছিলেন। আর মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি তার।
খুনের তদন্তে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিচ্ছে পুলিশ। ধৃতকে জেরা করার জন্য নিজেদের হেফাজতে নিতে চান তদন্তকারীরা। দ্রুত তাঁকে আদালতে হাজির করানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।