Load Shedding Haridwar

ঘন ঘন লোডশেডিং, অতিষ্ঠ হয়ে বিদ্যুৎ দফতরের তিন কর্তার বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ কাটলেন হরিদ্বারের কংগ্রেস বিধায়ক

বিধায়কের অভিযোগ, দিনে ৫-৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। কোনও ঘোষণা ছাড়াই লোডশেডিং করা হচ্ছে। তাঁর বিধানসভা এলাকার মানুষজন অত্যন্ত সমস্যার মধ্যে পড়ছেন।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ১২:৪৭
বিদ্যুৎকর্তাদের বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ কাটা হচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত।

বিদ্যুৎকর্তাদের বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ কাটা হচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত।

ঘন ঘন বিদ্যুৎবিভ্রাটে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন তিনি। শেষমেশ বাধ্য হয়ে বিদ্যুৎ দফতরের তিন কর্তার বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দিলেন উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারের কংগ্রেস বিধায়ক বীরেন্দ্র জাত্তি। ইতিমধ্যেই বিধায়কের বিরুদ্ধে রুরকি সিভিল লাইন্‌স থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে স্থানীয় বিদ্যুৎ দফতর।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সদলবলে বিদ্যুৎ দফতরের মুখ্য ইঞ্জিনিয়ার-সহ তিন কর্তার বাড়িতে মই এবং বিভিন্ন যন্ত্রপাতি নিয়ে হাজির হন বিধায়ক বীরেন্দ্র। প্রথমে তিনি যান সুপারিন্টেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ার বিবেক রাজপুতের বাড়িতে। যে বিদ্যুতের খুঁটি থেকে ইঞ্জিনিয়ারের বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়া হয়েছিল, সেই খুঁটিতে মই লাগিয়ে ওঠেন বিধায়ক। তার পর নিজের হাতেই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন। তার পর বিধায়ক হাজির হন মুখ্য ইঞ্জিনিয়ার অনুপম সিংহ এবং এগ্‌জ়িকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার বিনোদ পাণ্ডের বাড়িতে। দুই কর্তার বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন।

একের পর এক বিদ্যুৎকর্তার বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় হুলস্থুল পড়ে যায়। বিধায়কের অভিযোগ, দিনে ৫-৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। কোনও ঘোষণা ছাড়াই লোডশেডিং করা হচ্ছে। তাঁর বিধানসভা এলাকার মানুষজন অত্যন্ত সমস্যার মধ্যে পড়ছেন। তাঁর আরও অভিযোগ, ১০ দিন ধরে লাগাতার বিদ্যুৎ দফতরকে জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। বিধায়কের কথায়, ‘‘এক ঘণ্টা লোডশেডিং হলেই বিদ্যুৎকর্তাদের মধ্যে হাহাকার পড়ে যায়। সেখানে আমজনতাকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা এই পরিস্থিতির মুখে পড়তে হচ্ছে।’’

বিদ্যুৎ দফতরের পাল্টা অভিযোগ, বিধায়ক আইন নিজের হাতে তুলে নিয়েছেন। ঠিকমতো শাটডাউন না করেই বিদ্যুৎ সংযোগ কেটেছেন। এই ঘটনায় বড়সড় বিপদ হতে পারত।

Advertisement
আরও পড়ুন