(বাঁ দিক থেকে) আতিশী মার্লেনা, বিনয়কুমার সাক্সেনা, অরবিন্দ কেজরীওয়াল। ছবি: পিটিআই।
আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়াল তাঁরই দলের আতিশী মার্লেনাকে ‘দিল্লির অস্থায়ী মুখ্যমন্ত্রী’ বলায় মর্মাহত হয়েছেন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের উপরাজ্যপাল (লেফটেন্যান্ট গভর্নর) বিনয়কুমার সাক্সেনা! সে কথা মু্খ্যমন্ত্রী আতিশীকে চিঠি লিখেও জানিয়েছেন তিনি।
বিধানসভা ভোটের বাকি আর মাস দুয়েক। যুযুধান তিন প্রধান প্রতিপক্ষ আপ, বিজেপি এবং কংগ্রেস ভোটের প্রার্থীদের নামও ঘোষণা করে দিয়েছে ইতিমধ্যেই। এই আবহে কেজরীর পুরনো মন্তব্য তুলে ধরে লেফটেন্যান্ট গভর্নরের এই চিঠিতে ‘রাজনীতির ছোঁয়া’ দেখছে বিরোধী শিবিরের একাংশ। সংবাদ সংস্থা এএনআই সাক্সেনার চিঠিটি প্রকাশ করেছে। তাতে তিনি লিখেছেন, ‘‘কয়েক দিন আগে যখন আপনার পূর্বসূরি মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল প্রকাশ্যে সংবাদমাধ্যমের সামনে আপনাকে অস্থায়ী মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে ঘোষণা করেছিলেন, তখন তা আমার কাছে খুব আপত্তিকর লেগেছে এবং আমি মর্মাহত হয়েছি।’’
এর পরে চিঠিতে আতিশীর উদ্দেশে সাক্সেনার মন্তব্য, ‘‘এটি কেবল আপনার জন্যই অপমান নয়, আপনার নিয়োগকর্তা ভারতের মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং তাঁর প্রতিনিধি হিসাবে আমার কাছেও অপমানের। কেজরীওয়ালের ‘অস্থায়ী মুখ্যমন্ত্রী’ মন্তব্য অসাংবিধানিক এবং এটি বাবাসাহেব অম্বেডকর কর্তৃক প্রণীত সংবিধানে নিহিত গণতান্ত্রিক চেতনা এবং মূল্যবোধেরও পরিপন্থী। আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে দিল্লিতে বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। সে ক্ষেত্রে জানুয়ারির গোড়ায় ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করা হতে পারে। কেজরীর দল ইতিমধ্যেই ৭০টি আসনের সবক’টিতে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে দিল্লির ৭০টি আসনের মধ্যে ৬২টি আসনে জয়ী হয়েছিল কেজরীর দল। বিজেপি পেয়েছিল আটটি আসন। আবগারি দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত কেজরী সাড়ে ন’বছর মুখ্যমন্ত্রিত্ব সামলানোর পরে গত সেপ্টেম্বরে ইস্তফা দেন। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন অতিশী। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে কেজরী কোনও দফতরের দায়িত্ব না নিলেও তাঁর উত্তরসূরি আতিশী যে অনেকগুলি দায়িত্ব সামলাচ্ছেন সে কথা মনে করিয়ে তাঁকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর সাক্সেনা।