দাউদাউ করে জ্বলছে গোয়ার সেই নৈশক্লাব। ছবি: পিটিআই।
পাঁচ বন্ধুর সঙ্গে গোয়ার বির্চ নৈশক্লাবে গিয়েছিলেন বেঙ্গালুরুর ইঞ্জিনিয়ার মহম্মদ ইশাক। চার বন্ধু বেঁচে ফিরলেও, ফিরতে পারলেন না ইশাক। তবে তিনিও বেঁচে যেতেন, যদি না ফেলে আসা ফোন আনতে আবার ক্লাবের ভিতরে ঢুকতেন। যে ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, সেই তালিকায় রয়েছেন ইশাকও। তাঁর ঝলসানো দেহ উদ্ধার হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ইশাক বেঙ্গালুরুর একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় ডেটা অ্যানালিস্টের কাজ করতেন। তাঁর এক বন্ধুর সামনেই বিয়ে। তাই সেই উপলক্ষে ওই বন্ধু ব্যাচেলর পার্টির আয়োজন করেছিলেন। ইশাক-সহ পাঁচ বন্ধু মিলে গোয়া ভ্রমণে যান। শনিবার রাতে তাঁরা উত্তর গোয়ার আরপোরার নৈশক্লাব ‘বির্চে’ গিয়েছিলেন। রাত তখন সাড়ে ১২টা। ক্লাবের দোতলায় তখন ডিজের তালে আচে মশগুল একশোর বেশিও পর্যটক। ইশাকেরাও ছিলেন সেখানে।
আচমকাই আগুন লাগে। পর্যটকেরা দোতলা থেকে নেমে ক্লাবের বাইরে বেরিয়ে আসছিলেন। ইশাকেরাও হোটেল থেকে নিরাপদে বেরিয়ে আসেন। আগুন তত ক্ষণে অনেকটাই ছড়িয়ে পড়েছিল। তড়িঘড়িতে বেরিয়ে আসার ফলে ইশাক তাঁর ফোনটি ক্লাবের ওই দোতলাতেই ফেলে এসেছিলেন। যে টেবিলে ওঁরা বসেছিলেন, সেখানেই ফোন ফেলে আসেন ইশাক। আগুন লাগার কিছু আগেই বাবার সঙ্গে কথা হয়েছিল ইশাকের। তার পরই ফোনটা টেবিলের উপর রেখে দেন। কিন্তু আচমকা এ রকম একটা ঘটনা ঘটায় আতঙ্কিত হয়ে বেরিয়ে আসেন। কিন্তু ফোনটি নিয়ে আসতে ভুলে যান। সেই ফোন আনতেই ইশাক আবার ক্লাবের ভিতরে ছুটে যান। বন্ধুরা বাধা দেওয়া সত্ত্বেও শোনেননি বলে দাবি। বাইরে অপেক্ষা করতে থাকেন বন্ধুরা। সময় পেরোচ্ছিল, আগুনের হলকাও বাড়ছিল। ক্লাবের এক প্রান্ত থেকে এন্য প্রান্তে আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল। কিন্তু ইশাক আর ফেরেননি। পরে তাঁর ঝলসানো দেহ উদ্ধার হয়।