Bihar Incident

বিহারে ঘুমন্ত পড়ুয়ার বুকে পা দিয়ে ‘শাস্তি’, স্কুলপ্রধানের কীর্তি ধরা পড়ল সিসিটিভিতে

বিহারের একটি স্কুলের হস্টেলে ঘুমন্ত পড়ুয়ার বুকে পা তুলে দিয়ে নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছে প্রধানশিক্ষকের বিরুদ্ধে। পড়ুয়ার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২২ জুলাই ২০২৩ ১৭:১৮
Bihar school principal punishes student by climbing up his chest while sleeping.

ঘুমন্ত পড়ুুয়াকে হেনস্থা প্রধানশিক্ষকের। ছবি: সংগৃহীত।

ঘুমন্ত পড়ুয়ার বুকে পা তুলে দিয়ে চেপে বসছেন স্কুলের প্রধানশিক্ষক। তাকে মারধরও করছেন ইচ্ছেমতো। স্কুলপ্রধানের সেই কীর্তি সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়তেই শোরগোল। ওই পড়ুয়ার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছেন তাঁর স্ত্রী-ও।

ঘটনাটি বিহারের মুঙ্গের জেলার। নির্মলা আন্তর্জাতিক আবাসিক পাবলিক স্কুলের প্রধানশিক্ষক রামনাথ মণ্ডল। তিনি এবং তাঁর স্ত্রী নির্মলা দেবী স্কুলটি চালান। ওই স্কুলে পড়াশোনার পাশাপাশি বাইরে থেকে আসা পড়ুয়াদের থাকার ব্যবস্থাও রয়েছে। অভিযোগ, এই স্কুলের পড়ুয়া ১২ বছরের ম্যাথিউ রাজনকে গত ১৬ জুলাই হেনস্থা করা হয়। তাকে মারধর করেন প্রধানশিক্ষক এবং তাঁর স্ত্রী। পরে সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায় ঘুমন্ত অবস্থাতেও কী ভাবে তাকে হেনস্থা করা হচ্ছে।

Advertisement

পরিবারকে ম্যাথিউ এই ঘটনার কথা জানালে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। পড়ুয়ার বাবা থানায় যান। পুলিশের কাছে তিনি স্কুলপ্রধান এবং তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগপত্রে জানানো হয়, কিছু দিন আগে ম্যাথিউয়ের হাত থেকে ভুল করে একটি জীবাণুনাশকের শিশি অন্য এক পড়ুয়ার মুখে পড়ে গিয়েছিল। সেই ঘটনার পর ম্যাথিউকে মারধর করেন স্কুলপ্রধানের স্ত্রী নির্মলা। তারই শাস্তি দিতে ১৬ তারিখ রাতে ম্যাথিউকে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ।

রাত ১০টা নাগাদ ম্যাথিউ যখন ঘুমিয়ে পড়েছিল, সেই সময় তার কাছে গিয়ে পড়ুয়ার পা ধরে টানাটানি করেন প্রধানশিক্ষক। তার পর দেখা যায়, তিনি নিজের হাঁটু তুলে দিয়েছেন ঘুমন্ত পড়ুয়ার বুকে। তাকে পা দিয়ে চেপে মারধর করা হচ্ছে। অন্য পড়ুয়ারা গোটা ঘটনাটি পাশ থেকে দেখছে। এই ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে তার সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। পড়ুয়ার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে স্কুলপ্রধান এবং তাঁর স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement
আরও পড়ুন