Kuno Cheetah Death

মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে আবার মৃত্যু চিতার! শাবকটিকে জঙ্গলে ছাড়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দেহ উদ্ধার

বন দফতর সূত্রে খবর, প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, রাতে মায়ের কাছে থেকে দু’টির মধ্যে একটি শাবক আলাদা হয়ে পড়েছিল। কিন্তু কী কারণে শাবকটির মৃত্যু হল তা স্পষ্ট নয়।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ১১:০১
কুনোতে চিতাশাবকের মৃত্যু ঘিরে রহস্য। প্রতীকী ছবি।

কুনোতে চিতাশাবকের মৃত্যু ঘিরে রহস্য। প্রতীকী ছবি।

মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে আরও এক চিতার মৃত্যু ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। চিতাশাবকটিকে বৃহস্পতিবার জঙ্গলে ছাড়া হয়েছিল। শুক্রবার শাবকটির দেহ উদ্ধার হয়েছে বলে বন দফতর সূত্রে খবর।

Advertisement

এক বনাধিকারিক জানিয়েছেন, যে চিতাটির দেহ উদ্ধার হয়েছে, সেটি বীরার শাবক। সেটির বয়স ছিল ১০ মাস। শুক্রবার বিকেলে বন দফতরের কর্মীরা শাবকটির দেহ উদ্ধার করেন। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার ছিল আন্তর্জাতিক চিতা দিবস। ওই দিন মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব বীরা নামে একটি স্ত্রী চিতা এবং তার দুই শাবককে কুনো জাতীয় উদ্যানে ছাড়েন।

বন দফতর সূত্রে খবর, প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, রাতে মায়ের কাছে থেকে দু’টির মধ্যে একটি শাবক আলাদা হয়ে পড়েছিল। কিন্তু কী কারণে শাবকটির মৃত্যু হল তা স্পষ্ট নয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছেন এক বনাধিকারিক। তবে বন দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, বীরা এবং তার দুই শাবক সুস্থ এবং সবল। তার পরেও কী ভাবে মৃত্যু, তা নিয়ে রহস্য ঘনাচ্ছে। কুনোতে এই মুহূর্তে ২৮টি চিতা রয়েছে। তার মধ্যে আটটি পূর্ণবয়স্ক (৫টি স্ত্রী এবং ৩টি পুরুষ চিতা)। আর শাবকের সংখ্যা ২০। প্রতিটি চিতাই সুস্থ এবং সবল বলে জানিয়েছেন কুনো জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষ।

তবে চিতার মৃত্যুর ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগেই বেশ কয়েকটি চিতা এবং চিতার শাবকের মৃত্যু হয়েছে কুনোতে। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে নামিবিয়া থেকে পাঁচটি স্ত্রী এবং তিনটি পুরুষ চিতা আনা হয়েছিল কুনো জাতীয় উদ্যানে। স্বপ্নের চিতা প্রকল্পের উদ্বোধন করে মোদী বলেছিলেন, ‘ঐতিহাসিক দিন’। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আরও ১২টি চিতা আনা হয়েছিল কুনোয়। তার পর থেকে সুরজ, শৌর্য, তেজস, শাশা এবং নভা-সহ কয়েকটি চিতার মৃত্যু হয়। একের পর এক চিতার মৃত্যুতে মোদীর স্বপ্নের প্রকল্প নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।

Advertisement
আরও পড়ুন