Anil Ambani’s Son

ব্যাঙ্ক প্রতারণার মামলায় এ বার নাম জড়াল অনিল অম্বানীর পুত্র জয় অনমোলের! পদক্ষেপ করল সিবিআই

ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ায় (সাবেক অন্ধ্র ব্যাঙ্ক) প্রতারণার অভিযোগে নাম জড়াল অনিলপুত্র জয়ের। ওই প্রতারণার ফলে ব্যাঙ্কের ২২৮ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৫:২৩
(বাঁ দিকে) শিল্পপতি অনিল অম্বানী এবং তাঁর পুত্র জয় অনমোল (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) শিল্পপতি অনিল অম্বানী এবং তাঁর পুত্র জয় অনমোল (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।

অনিল অম্বানীর পুত্র জয় অনমোলের বিরুদ্ধে এ বার অভিযোগ দায়ের করল সিবিআই। রিলায়্যান্স হাউসিং ফিনান্স লিমিটেড (আরএইচএফএল)-এর সঙ্গে সম্পর্কিত ব্যাঙ্ক প্রতারণার মামলায় এই পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অনিলের মালিকানাধীন গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আগে থেকেই তদন্ত চালাচ্ছে দুই তদন্তকারী সংস্থা ইডি এবং সিবিআই। এ বার ব্যাঙ্ক প্রতারণার মামলায় অভিযুক্ত হিসাবে অনিলপুত্রের নামও জুড়লেন সিবিআই আধিকারিকেরা।

Advertisement

২০০৭ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ইয়েস ব্যাঙ্ক থেকে বড় অঙ্কের ঋণ নেওয়ার সময় অনিলের সংস্থা নিয়ম মানেনি বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই সংক্রান্ত অভিযোগের তদন্তে ইতিমধ্যে বেশ কিছুটা অগ্রগতিও হয়েছে। এ বার ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ায় (সাবেক অন্ধ্র ব্যাঙ্ক) প্রতারণার অভিযোগে নাম জড়াল অনিলপুত্র জয়ের। ওই প্রতারণার ফলে ব্যাঙ্কের ২২৮ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ। বস্তুত, অনিলদের ওই সংস্থা আরএইচএফএল-এর ডিরেক্টর পদে রয়েছেন জয় এবং রবীন্দ্র শরদ সুধাকর। উভয়ের বিরুদ্ধেই পদক্ষেপ করেছে সিবিআই।

অভিযোগ, অন্ধ্র ব্যাঙ্কের মুম্বইয়ের একটি শাখা থেকে ব্যবসায়িক প্রয়োজনে ঋণের ঊর্ধ্বসীমা ৪৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত বর্ধিত করে আরএইচএফএল গোষ্ঠী। সেখান থেকে ঋণ গ্রহণ করলেও পরবর্তী সময়ে ওই সংস্থা ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে পারেনি। পদের অপব্যবহার এবং জালিয়াতির অভিযোগে এই পদক্ষেপ করেছে সিবিআই। সূত্রের খবর, পরবর্তী সময়ে তদন্ত প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে আরএইচএফএল-এর যাবতীয় নথিপত্র, ঋণের হিসাব এবং অন্য লেনদেনের নথি খতিয়ে দেখতে পারেন তদন্তকারীরা। জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে সংস্থার বিভিন্ন কর্তা এবং ব্যাঙ্ককর্মীদেরও।

অন্য দিকে অনিলের সংস্থা রিলায়্যান্স পাওয়ার লিমিটেডের বিরুদ্ধে টাকা তছরুপের মামলায় গত সপ্তাহেই চার্জশিট জমা দিয়েছে ইডি। চার্জশিটে নাম রয়েছে আরও ১০ ব্যক্তি এবং সংস্থার। অভিযোগ, একটি বরাত পাওয়ার জন্য ‘ভুয়ো’ ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি দিয়েছে অনিলের সংস্থা।

Advertisement
আরও পড়ুন