গোয়ার সেই নৈশক্লাবের মালিক সৌরভ এবং গৌরব লুথরা। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর পরই দেশ ছেড়ে পালান সৌরভ এবং গৌরব লুথরা (লুথরা ভাই) তথা উত্তর গোয়ার আরপোরার বির্চ নৈশক্লাবের মালিকেরা। তাঁদের দু’জনকে দেশে ফেরাতে ইন্টারপোলের সাহায্য নিচ্ছে সিবিআই। লুথরা ভাইদের বিরুদ্ধে ব্লু কর্নার নোটিস জারি করার জন্য ইন্টারপোলকে অনুরোধ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। গোয়া পুলিশের তরফেও লুথরা ভাইদের বিরুদ্ধে লুক আউট সার্কুলার (এলওসি) জারি করা হয়েছে।
শনিবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ উত্তর গোয়ার ওই নৈশক্লাবে আগুন লাগে। সেই সময় ক্লাবে পর্যটক এবং কর্মী মিলিয়ে ১০০ জনেরও বেশি ছিলেন। সেই ঘটনায় ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। গোয়া পুলিশের তরফে যে বিবৃতি জারি করা হয়েছে, সেখানে বলা হয়েছে, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর পরই যে নৈশক্লাবের মালিক লুথরা ভাইদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। যে সময়ে ঘটনাটি ঘটে, সেই সময় দিল্লিতে ছিলেন সৌরভ এবং গৌরব লুথরা। গোয়া পুলিশের একটি দল দুই ভাইকে গ্রেফতারের জন্য দিল্লি রওনা দেয়। কিন্তু সেখানে গিয়ে দুই ভাইযের হদিস মেলেনি। তাঁদের বাসভবনে নোটিস দিয়ে আসে পুলিশ। তার পরই রবিবার, অর্থাৎ ৭ ডিসেম্বর অভিবাসন দফতর গোয়ার পুলিশের অনুরোধে লুকআউট সার্কুলার জারি করে।
তদন্তকারী এক আধিকারিক জানিয়েছেন, শনিবার রাতে দিল্লিতেই ছিলেন লুথরা ভাইয়েরা। কিন্তু সেখানে গিয়ে তাঁদের হদিস না মেলায় মুম্বইয়ে ব্যুরো অফ ইমিগ্রেশন-এর সঙ্গে যোগাযোগ করে। তখন জানা যায়, রবিবার ভোর সাড়ে ৫টায় তাইল্যান্ডের ফুকেতের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন লুথরা ভাইয়েরা। তার পরই সিবিআইয়ের সাহায্যে ইন্টারপোলের সঙ্গে যোগাযোগ করে গোয়া পুলিশ। সূত্রের খবর, ইন্টারপোলকে সিবিআই অনুরোধ করেছে লুথরা ভাইয়ের বিরুদ্ধে ব্লু কর্নার নোটিস জারি করা হোক। শুধু তা-ই নয়, দুই ভাইকে গ্রেফতারে তাদের সহযোগিতা করা হোক।
শুধু দেশে নয়, বিদেশেও লুথরা ভাইদের রেস্তরাঁর ব্যবসা রয়েছে। দিল্লি, নয়ডা, গুরুগ্রাম, গোয়া, ভোপাল, ইনদওর, দেহরাদূন, লখনউ ছাড়াও দুবাইয়েও রেস্তরাঁ এবং হোটেলের ব্যবসা রয়েছে তাঁদের। গোয়ার এই নৈশক্লাবের মালিকানা রয়েছে গৌরব লুথরার হাতে। দিল্লির আউট্রাম লেন থেকেই প্রথম ব্যবসা শুরু করেন লুথরা ভাইয়েরা।