দিল্লির বায়ুদূষণ পরিস্থিতি উত্তরোত্তর খারাপ হলেও চাপানউতোর কমার কোনও লক্ষণ নেই। — ফাইল চিত্র।
দিল্লির বায়ুদূষণ পরিস্থিতি উত্তরোত্তর খারাপ হলেও চাপানউতোর কমার কোনও লক্ষণ নেই। আজ দিল্লির যাবতীয় দূষণের পিছনে আম আদমি পার্টিকে দায়ী করে অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে চিঠি দিলেন দিল্লির উপরাজ্যপাল ভি কে সাক্সেনা।
আজ নিজের চিঠিতে দিল্লির বায়ুদূষণের জন্য কেজরীওয়াল সরকারের ১১ বছরের শাসনকেই দায়ী করেন উপরাজ্যপাল। সাক্সেনা লেখেন, ‘‘বিগত এগারো বছর দূষণ নিয়ন্ত্রণে হাত গুটিয়ে থাকার ফলে দিল্লির বাতাস এ ভাবে দূষিত হয়ে পড়েছে। ক্ষমতায় থাকাকালীন কেবল পঞ্জাব ও কেন্দ্রকেই দোষারোপ করে নিজেদের দায় এড়িয়েছিল আপ সরকার।’’ সে সময়ে কোনও পদক্ষেপ না করার জন্য আপ সরকারের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক মামলা হওয়া উচিত বলেই লিখেছেন রাজ্যপাল। পাশাপাশি বায়ুদূষণ আটকাতে বিজেপি সরকার ব্যর্থ বলে আপ নেতৃত্ব যে প্রচার চালাচ্ছেন, তা রাজনৈতিক ফায়দা নিতেই করা হচ্ছে বলেও দিল্লি সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, ‘‘আপ সরকার যে ভুল করেছিল, তা গত দশ মাসে যথাসম্ভব ঠিক করার চেষ্টা করে চলেছে দিল্লির বিজেপি সরকার।’’
বিগত আপ সরকারকে দুষে উপরাজ্যপাল বিজেপির প্রশংসা করলেও বাতাসের বাস্তব কিন্তু ভিন্ন কথা বলছে। আজ সন্ধ্যায় দিল্লির বায়ুমানের সূচক ছিল ৪০৪। শরীরের জন্য যা ভীষণ খারাপ। সূত্রের মতে, আজ দিল্লির বায়ুদূষণ রুখতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্ত। এ দিকে দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী মনজিন্দর সিংহ সিরসা জানিয়েছেন, দূষণ সংক্রান্ত ছাড়পত্র না পেলে এখন যেমন পেট্রোল পাম্পে তেল দেওয়া হচ্ছে না, এই নিয়ম পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও চালু থাকবে। ওই শংসাপত্র ছাড়া যাতে কোনও গাড়ি চলতে না পারে, তা নিশ্চিত করতেই ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দূষণের কথা মাথায় রেখে দিল্লির প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত সমস্ত ক্লাস অনলাইনে করার নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি সরকার। ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা হাইব্রিড মাধ্যমে হবে। একমাত্র স্কুল যেতে হবে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পডু়য়াদের।