মঙ্গলবার সকালে কুয়াশাচ্ছন্ন দিল্লি। ছবি: পিটিআই।
মঙ্গলবার সকালেও দিল্লির বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে ছিল ঘন কুয়াশার চাদর। দৃশ্যমানতা নেমে এসেছে তলানিতে। কোথাও কোথাও ১০০ মিটার দূরে কী রয়েছে, তা-ও ঠাহর করা যাচ্ছে না। ঘন কুয়াশার জেরে প্রভাবিত হয়েছে বিমান পরিষেবাও। প্রতিকূল আবহাওয়ার জন্য দিল্লি বিমানবন্দরে অন্তত ১১৮টি বিমান বাতিল করতে হয়েছে মঙ্গলবার। পরিষেবা বিঘ্নিত হয়েছে আরও বেশ কিছু বিমানের। ১৬টি বিমানের যাত্রাপথ বদলে দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের চেয়ে দেরিতে চলছে ১৩০টি বিমান।
আধিকারিক সূত্রে জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবার উড়ান বাতিল হয়েছে অন্তত ৬০টি বিমানের। কুয়াশার কারণে ৫৮টি বিমানের দিল্লিতে অবতরণও বাতিল করা হয়েছে। যদিও দিল্লি আন্তর্জাতিক বিমান কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, পরিষেবা স্বাভাবিকই রয়েছে। তবে যে বিমানগুলিতে ‘সিএটি ৩’ প্রযুক্তি নেই, সেগুলিতে সমস্যা হতে পারে। বস্তুত, ‘সিএটি ৩’ হল এমন এক প্রযুক্তি, যা দৃশ্যমানতা কম থাকলেও বিমান ওঠানামার ক্ষেত্রে পাইলটদের সাহায্য করে।
বস্তুত, সোমবার রাত থেকেই রাজধানী দিল্লি ঢেকে রয়েছে কুয়াশার ঘন আস্তরণে। ঘন কুয়াশার কারণে মৌসম ভবন থেকে লাল সতর্কতাও জারি করা হয় দিল্লির জন্য। কুয়াশার জেরে দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় সোমবার রাতেও বহু বিমান বাতিল করতে হয়। মঙ্গলবার সকালেও বদলাল না সেই দৃশ্য।
মঙ্গলবার সকালেও দিল্লিতে কুয়াশার হলুদ সতর্কতা জারি করে মৌসম ভবন। সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ সফদরজং এলাকায় দৃশ্যমানতা নেমে ১০০ মিটারে চলে এসেছিল। পরে সাড়ে ৮টার দিকে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়। সাড়ে ৮টায় সফদরজঙে দৃশ্যমানতা ছিল প্রায় ২০০ মিটার। পালম এলাকায় ওই সময়ে দৃশ্যমানতা ছিল প্রায় ৩০০ মিটারের আশপাশে।