প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এস ওয়াই কুরেশি। — ফাইল চিত্র।
দু’দশক আগেই স্থির হয়েছিল, ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন (এসআইআর)-এর আর প্রয়োজন নেই। তার পরেও ফের এসআইআর প্রক্রিয়া চালিয়ে বিশেষ কোনও সম্প্রদায়কে নিশানা করা হচ্ছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এস ওয়াই কুরেশি।
দিল্লিতে আজ এসআইআর নিয়ে হওয়া সম্মেলনের শেষে সংবাদমাধ্যমকে কুরেশি জানান, ২০০৩ সালে বিহারে এসআইআর হওয়ার পরে তৎকালীন নির্বাচন কমিশনের কর্তারা স্থির করেছিলেন যে, দেশের প্রায় ৯০ শতাংশ ভোটারদের তথ্য কমিশনের কাছে চলে এসেছে। তাই নতুন করে আর নিবিড় সংশোধনের প্রয়োজন নেই। যা হবে, তা হল বাৎসরিক সংশোধন। যেখানে মৃত, স্থানান্তরিত, আঠারো বছরে পা দেওয়া, বিয়ে করে চলে যাওয়া বা আসা ব্যক্তিদের নামই কেবল যোগ হবে বা বাদ যাবে। কুরেশির প্রশ্ন, ‘‘তার পরেও এসআইআর করা হচ্ছে। এর লক্ষ্য কি কোনও বিশেষ সম্প্রদায়?’’
রাজনীতিবিদ যোগেন্দ্র যাদবও প্রশ্ন তুলেছেন এসআইআর-এর প্রকৃত উদ্দেশ্য নিয়ে। তাঁর কথায়, ‘‘বলা হচ্ছে সংশোধন। সংশোধন হলে মূল তালিকায় সামান্য কিছু পরিবর্তন হয়ে থাকে। কিন্তু এখানে তো মূল ভোটার তালিকাই বদলে ফেলা হচ্ছে। ফলে এসআইআর-কে কোনও ভাবেই সংশোধন বলা যায় না।’’ তাঁর দাবি, সম্পূর্ণ রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে এসআইআর করা হচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ভোটার তালিকার যে নিবিড় সংশোধন চলছে তার প্রকৃত লক্ষ্য নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কুরেশি। তিনি বলেন, প্রথমে দাবি করা হল বিদেশিদের চিহ্নিত করতে ওই তালিকায় সংশোধন করা হচ্ছে। কুরেশির দাবি, ‘‘বিহারে নাকি এসআইআর প্রক্রিয়ার পরে স্রেফ পাঁচশো বিদেশি নাগরিক ধরা পড়েছেন। যাদের মধ্যে দেড়শো মুসলিম ও বাকিরা সকলেই নেপালি হিন্দু মহিলা যাঁরা বিয়ের পরে এ দেশে বসবাস করছেন। কুরেশির প্রশ্ন, ‘‘স্রেফ কয়েকশো লোককে চিহ্নিত করতে কয়েক কোটি মানুষকে হেনস্থা করার কী অধিকার রয়েছে!’’