Jaipur Couple Death

প্রকাশ্য রাস্তায় তপ্ত বাগবিতণ্ডা! পর দিনই বন্ধ ঘর থেকে দেহ মিলল স্বামী-স্ত্রীর, জয়পুরের ঘটনায় চাঞ্চল্য

নিহতদের নাম ধর্মেন্দ্র এবং সুমন। বিবাহিত ওই দম্পতি জয়পুরের মুহানায় থাকতেন। তাঁদের ১১ এবং ৮ বছর বয়সি দুই মেয়েও রয়েছে। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, তাঁদের আর্থিক অবস্থাও স্থিতিশীল ছিল।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০২৫ ২০:৫২
জয়পুরে নিহত দম্পতি।

জয়পুরে নিহত দম্পতি। ছবি: সংগৃহীত।

বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার হল স্বামী-স্ত্রীর দেহ! শনিবার রাজস্থানের জয়পুরে ঘটনাটি ঘটেছে। প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে, একসঙ্গে আত্মহত্যা করেছেন ওই দম্পতি।

Advertisement

সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহতদের নাম ধর্মেন্দ্র এবং সুমন। বিবাহিত ওই দম্পতি জয়পুরের মুহানায় থাকতেন। তাঁদের ১১ এবং ৮ বছর বয়সি দুই মেয়েও রয়েছে। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, তাঁদের আর্থিক অবস্থাও স্থিতিশীল ছিল। সম্প্রতি ফ্ল্যাট কিনে এলাকায় এসেছিল ওই পরিবার। শনিবার সেই ফ্ল্যাট থেকেই তাঁদের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। নিহতের পরিবার সূত্রে খবর, শুক্রবার থেকে ফোনে পাওয়া যাচ্ছিল না ধর্মেন্দ্রকে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, যে ব্যাঙ্কে তিনি কাজ করতেন, শুক্রবার সেখানেও কাজে যাননি তিনি। এর পরেই পরিজনেরা তাঁদের ফ্ল্যাটে গিয়ে উপস্থিত হন। অনেক ডাকাডাকির পরেও সাড়া না মেলায় দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন তাঁরা। ভিতরে দেখা যায়, মেঝেতে পড়ে রয়েছে দম্পতির নিথর দেহ।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় পুলিশ। তদন্তে নেমে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই আবাসনের পার্কিং লটের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, ঘটনার আগের দিনই কোনও বিষয় নিয়ে তুমুল ঝগড়া হয়েছিল দম্পতির। ফুটেজটি বৃহস্পতিবার বিকেলের। তাতে দেখা গিয়েছে, আত্মহত্যার এক দিন আগে পার্কিং লটে দাঁড়িয়ে প্রকাশ্যেই বচসা করছেন ধর্মেন্দ্র ও সুমন। ধর্মেন্দ্র বারবারই গাড়িতে স্টার্ট দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। স্বামীকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন সুমন। শেষমেশ হাল ছেড়ে দিয়ে ধর্মেন্দ্রও গাড়ি থামিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে বচসায় যোগ দেন। কিছু ক্ষণ পর অবশ্য দু’জনেই গাড়ি থেকে নেমে হাসিমুখে ঘরে ঢোকেন। ওই ভিডিয়োতেই শেষ বার দু’জনকে জীবিত অবস্থায় দেখা গিয়েছে। তা হলে কি সামান্য বচসার জেরেই আত্মহননের পথ বেছে নিলেন দম্পতি? নাকি এই রহস্যমৃত্যুর নেপথ্যে অন্য কোও কারণ রয়েছে? সে সব প্রশ্ন পুলিশকে ভাবাচ্ছে। পুলিশ আধিকারিক গুর ভূপেন্দ্রের কথায়, ‘‘এটি আত্মহত্যার ঘটনা বলেই মনে হচ্ছে। তবে খুনের বিষয়টি এখনই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। আমরা সেই দৃষ্টিকোণ থেকেও তদন্ত করব।’’

Advertisement
আরও পড়ুন