জয়রাম রমেশ। — ফাইল চিত্র।
নরেন্দ্র মোদী বন্দে মাতরম্-এর ইতিহাস বিকৃত করতে গিয়ে ‘বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বনাম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর’ লড়াই খাড়া করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ তুললেন জয়রাম রমেশ। বন্দে মাতরম্ নিয়ে আলোচনায় আজ রাজ্যসভায় কংগ্রেস সাংসদ জয়রাম অভিযোগ তুলেছেন, মোদীর পরিকল্পনা ছিল জওহরলাল নেহরুকে কালিমালিপ্ত করা। তা করতে গিয়ে তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকেই কালিমালিপ্ত করেছেন।
জয়রাম আজ ইতিহাসবিদ সব্যসাচী ভট্টাচার্যের লেখা ‘বন্দে মাতরম্—একটা গানের জীবনী’ থেকে উদ্ধৃত করে দেখিয়েছেন, বন্দে মাতরম্-এর দু’টি স্তবক বাছাই করার পরামর্শ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর দিয়েছিলেন। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘‘যিনি আপনাদের জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়িয়েছেন, সেই অধ্যাপক সব্যসাচী ভট্টাচার্য এ কথা লিখেছেন।’’
নেহরুর বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু তোষণের অভিযোগ তোলেন মোদী। জয়রাম পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘যে এ কে ফজলুল হক লাহৌরে পাকিস্তান প্রস্তাব পেশ করেছিলেন, তাঁর সঙ্গে যখন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় জোট সরকার গড়েছিলেন, সেটা কি সংখ্যালঘু তোষণ ছিল না? শ্যামাপ্রসাদের পরামর্শে সিন্ধু এবং নর্থ ওয়েস্ট ফ্রন্টিয়ার প্রভিন্সে জোট সরকার গঠন সংখ্যালঘু তোষণ ছিল না? লালকৃষ্ণ আডবাণী করাচিতে গিয়ে জিন্নার প্রশংসা করেননি? বাজপেয়ী সরকারের মন্ত্রী যশোবন্ত সিংহ জিন্নার জীবনী লেখেননি? নেহরুকে এত ঘৃণা যে জিন্নাকে আলিঙ্গন করতে হবে?’’ মোদীর অভিযোগ ছিল, নেহরু ১৯৩৭ সালে বন্দে মাতরম্-এর স্তবক বাদ দিয়ে দেশভাগের বীজ বপন করেছিলেন। আজ আরএসএসের দিকে ইঙ্গিত করে রমেশ অভিযোগ তুলেছেন, এই সংগঠনই ১৯৩৭ সালে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষের আবহ তৈরি করেছিল।