Jaish-e-Mohammed

জম্মু ও কাশ্মীরের উধমপুরে নিকেশ এক জইশ জঙ্গি, নিরাপত্তাবাহিনীর ‘জালে’ আরও তিন, চলছে লড়াই

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০২৫ ১৮:২৯
জম্মু ও কাশ্মীরে নিরাপত্তাবাহিনীর তৎপরতা।

জম্মু ও কাশ্মীরে নিরাপত্তাবাহিনীর তৎপরতা। —ফাইল চিত্র।

জম্মু-কাশ্মীরের উধমপুরে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিহত হয়েছে পাক সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী জইশ-এ-মহম্মদের এক জিহাদি। পাহাড়-জঙ্গলঘেরা বসন্তগড় এলাকায় কেন্দ্রীয় আধাসেনা ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের যৌথবাহিনী আরও অন্তত তিন জঙ্গিকে ঘিরে ফেলেছে বলে সরকারি সূত্রের খবর।

Advertisement

আগামী সপ্তাহ থেকেই জম্মু ও কাশ্মীরে অমরনাথ যাত্রা শুরু হচ্ছে। তার আগে হামলা চালানোর সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়েই জঙ্গিরা বসন্তগড় এলাকায় ডেরা বানিয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। নিহত সন্ত্রাসবাদী গত এক বছর ধরে জম্মু ও কাশ্মীরে সক্রিয় ছিল বলে পুলিশের একটি সূত্র জানাচ্ছে। ওই সূত্রের দাবি, গোয়েন্দা সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছিল, উধমপুরের বসন্তগড়ের জঙ্গলঘেরা গ্রামে কয়েক জন জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে। খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার ভোরে আচমকা জঙ্গলে ঘেরা সেই গ্রামে হানা দেয় যৌথবাহিনী।

গ্রামের পাশাপাশি এলাকায় পাহাড় ও জঙ্গল ঘিরে শুরু হয় চিরুনি তল্লাশি (নিরাপত্তা পরিভাষায়, কর্ডন অ্যান্ড সার্চ বা ক্যাসো) অভিযান। তল্লাশি চলাকালীন নিরাপত্তাবাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে দেয় জঙ্গিরা। নিরাপত্তাবাহিনীও পাল্টা গুলি চালায়। দুপুরে নিহত জঙ্গির দেহ উদ্ধার করা হয়। তবে জঙ্গলের আড়াল থেকে এখনও অন্তত তিন জন জঙ্গি গুলির লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। রাতের অন্ধকারের সুযোগে যাতে তারা পালাতে না পারে, সে জন্য এলাকায় পাঠানো হয়েছে বাড়তি বাহিনী। প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল রক্তাক্ত হয়েছিল পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকা, নিহত হন ২৬ জন সাধারণ মানুষ। যাঁদের মধ্যে ছিলেন ২৫ জন পর্যটক এবং এক জন স্থানীয় বাসিন্দা।

Advertisement
আরও পড়ুন