Gujarat Labor Death

ইএমআই-তে মোবাইল কিনে দিতে রাজি হননি বাবা, কুয়োয় ঝাঁপ পুত্রের, ৯ ঘণ্টার উদ্ধারকাজেও হল না শেষরক্ষা

ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা রুস্তম শেখ পরিযায়ী শ্রমিক। কর্মসূত্রে থাকতেন গুজরাতের ভুজে। বাবার কাছে নতুন মোবাইল ফোনের জন্য আবদার করেছিলেন তিনি।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৬:০০
ঝাড়খণ্ডের যুবকের মৃত্যু গুজরাতে।

ঝাড়খণ্ডের যুবকের মৃত্যু গুজরাতে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

মোবাইল ফোন কেনা নিয়ে বাবার সঙ্গে বচসা হয়েছিল ২০ বছরের যুবকের। তিনি নতুন মোবাইল কিনতে চেয়েছিলেন। বাবাকে জানিয়েছিলেন, ইএমআই-এর মাধ্যমে অল্প অল্প করে টাকা দিয়ে মোবাইলটি কিনতে চান। কিন্তু বাবা তাতে রাজি হননি। অভিমানে কুয়োয় ঝাঁপ দেন যুবক। তাঁকে উদ্ধারের চেষ্টা করা হয়েছিল। ৯ ঘণ্টা ধরে চলেছিল উদ্ধারকাজ। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি।

Advertisement

ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা রুস্তম শেখ কর্মসূত্রে গুজরাতের ভুজে থাকতেন। পেশায় তিনি ছিলেন শ্রমিক। ভুজের কুকমা গ্রামে একটি ১৪০ ফুট গভীর কুয়োতে শুক্রবার রাতে পড়ে যান তিনি। টানা ন’ঘণ্টা ধরে তাঁকে উদ্ধারের চেষ্টা করা হয়। এমনকি, সেনাবাহিনীও উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছিল। ভোর ৩টে নাগাদ যুবককে কুয়ো থেকে তোলা হয়। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, ঘটনার দিনেই সকালে বাবার সঙ্গে মোবাইল কেনা নিয়ে যুবকের বচসা হয়েছিল। কিছুতেই নতুন মোবাইল ফোন কিনে দিতে রাজি হননি তাঁর বাবা। স্থানীয়েরা জানাচ্ছেন, সেই কারণেই যুবক মনমরা হয়েছিলেন। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে কুয়োয় ঝাঁপ দেন তিনি।

যুবককে কুয়ো থেকে উদ্ধার করার জন্য পুলিশ এবং দমকলবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছোয়। কুয়োর নীচে অনবরত অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ক্যামেরার মাধ্যমে তাঁর পরিস্থিতির দিকেও নজর রাখা হচ্ছিল। কিন্তু কুয়োটি গভীর হলেও তার মুখ ছিল অত্যন্ত সঙ্কীর্ণ। তাই উদ্ধারকাজ কঠিন হয়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত দড়ির সঙ্গে ধাতব হুক লাগিয়ে যুবকের জামা তার সঙ্গে গেঁথে তাঁকে টেনে তোলা হয়। কিন্তু বাঁচানো যায়নি।

Advertisement
আরও পড়ুন