মধ্যপ্রদেশে মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদবের উপস্থিতিতে আত্মসমর্পণ ১০ মাওবাদীর। ছবি: সংগৃহীত।
মধ্যপ্রদেশে একসঙ্গে আত্মসমর্পণ ১০ মাওবাদীর! মাওবাদী নেত্রী সুনীতার আত্মসমর্পণের এক মাস পর মধ্যপ্রদেশে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার আত্মসমর্পণ করলেন মাওবাদীরা। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, যাঁরা আত্মসমর্পণ করেছেন, তাঁদের মধ্যে কানহা-ভোরামদেও (কেবি) ডিভিশনের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ কমান্ডার কবীরও রয়েছেন। এ হেন নেতার আত্মসমর্পণকে বড় সাফল্য হিসাবেই দেখছে মধ্যপ্রদেশ সরকার।
রবিবার বালাঘাটে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদবের উপস্থিতিতে আত্মসমর্পণ করেছেন ১০ মাওবাদী নেতা ও কর্মী। তাঁদের মধ্যে চার মহিলাও রয়েছেন। পুলিশ সূত্রে খবর, মহারাষ্ট্র-মধ্যপ্রদেশ-ছত্তীসগঢ় (এমএমসি) জ়োনে আত্মসমর্পণকারী ১০ নেতা-কর্মীর মাথার দাম সব মিলিয়ে ছিল ২ কোটি ৩৬ লক্ষ টাকা! এর মধ্যে রয়েছেন ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ কমান্ডার কবির ওরফে সোম ওরফে সুরেন্দ্র। কেবি ডিভিশনের সাব-জ়োনাল কমিটির সেক্রেটারি কবিরের মাথার দাম ছিল ৬২ লক্ষ টাকা। দরভা ডিভিশনের সামরিক প্রধানও ছিলেন তিনি। আর এক আত্মসমর্পণকারী নেতা রাকেশ ওরফে মণীশেরও মাথার দাম ছিল ৬২ লক্ষ টাকা। তিনিও বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। বাকিদের নাম লালসিং, শিল্পা, নবীন, জয়শীলা, বিক্রম, জ়ারিনা এবং সমর।
সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব বলেন, ‘‘আগামী বছর থেকে মধ্যপ্রদেশের মাটিতে আর নকশালবাদের কোনও জায়গা থাকবে না। আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, ২০২৬ সালের জানুয়ারির মধ্যে হয় ওঁরা আত্মসমর্পণ করবেন, নয়তো আমরা তাঁদের নিশ্চিহ্ন করে দেব। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং আমাদের সঙ্কল্প হল দেশের মাটি থেকে নকশালবাদকে নির্মূল করা। গত দু’বছরে আমরা দিন্দোরি এবং মান্ডলাকে মাওবাদীমুক্ত করেছি। এখন বালাঘাটও সেই পথে হাঁটছে।’’ পাশাপাশি, মাওবাদী দমন অভিযানের জন্য রাজ্যের পুলিশের প্রশংসাও করেছেন তিনি।