সংসদরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ফাইল চিত্র।
মনরেগা-র খোলনলচে বদলে মোদী সরকার বিকশিত ভারত-জি রাম জি আইন জারি করলেও তার কাজ শুরু হতে এখনও মাস ছয়েক সময় লাগবে। আপাতত রাজ্যে রাজ্যে মনরেগা-র কাজই চলবে। রাজ্যগুলি যে ভাবে কাজের চাহিদা অনুযায়ী কাজ দিচ্ছিল, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে টাকা চাইছিল, সেই ব্যবস্থাই আপাতত বজায় থাকবে।
আজ গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে মনরেগা, বিকশিত ভারত-জি রাম জি আইন নিয়ে আলোচনা হয়েছে।নতুন ব্যবস্থা চালু না হওয়া পর্যন্ত কী ভাবে রাজ্যে মনরেগা-র কাজ চলবে, তা নিয়ে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের কর্তারা স্থায়ী কমিটির সদস্যদের বিস্তারিত জানান। সূত্রের খবর, বৈঠকে কর্তারা জানান, আইন জারি হলেও তার বিধিনিয়ম তৈরি করতে হবে। রাজ্যগুলিকেও তৈরি হতে হবে। এ জন্য অন্তত ছয় মাস সময় লেগে যাবে। মোদী সরকার অবশ্য নতুন অর্থ বছর বা ১ এপ্রিল থেকে বিকশিতভারত-জি রাম জি আইনে নতুন ভাবে রোজগার নিশ্চয়তা প্রকল্প চালুকরতে চাইছে।
নতুন আইনে কাজের নিশ্চয়তা ১০০ দিন থেকে বাড়িয়ে ১২৫ দিন করা হয়েছে। আজ স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিরোধী সাংসদরাজানান, কমিটি কাজের নিশ্চয়তা ১৫০ দিন করার সুপারিশ করেছিল।কমিটির অন্যান্য সুপারিশ বিধিনিয়ম তৈরির ক্ষেত্রে মানা হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। বিজেপি সাংসদরা বলেন, মনরেগা-য় খামতি ছিল বলেই নতুন আইন তৈরিকরতে হয়েছে।
এত দিন মনরেগা-য় কাজের চাহিদা অনুযায়ী কাজ দেওয়া হত। সেই অনুযায়ী রাজ্যগুলি কেন্দ্রের থেকে টাকা চাইত। এখন কেন্দ্রঠিক করবে, কোন রাজ্যে কত টাকার কাজ হবে। মজুরির খরচের পুরো ভার নেওয়ার বদলে কেন্দ্রশুধু ৬০ শতাংশ অর্থ দেবে। বাকি ৪০ শতাংশ অর্থ রাজ্যগুলিকে দিতে হবে। গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান, কংগ্রেসসাংসদ সপ্তগিরি উলাকা আজ বৈঠকের পরে বলেন, ‘‘এমন নয় যে কমিটিতে সবাই বিকশিতভারত-জি রাম জি আইনকে সমর্থন জানিয়েছেন। এখন থেকে গ্রামীণ রোজগার গ্যারান্টি প্রকল্পে অন্যান্য কেন্দ্রীয় অনুদানে চলা প্রকল্পের মতো কাজ হবে।’’