Kamal Haasan

রাজ্যসভায় পা রাখবেন কমল হাসন, স্ট্যালিনের প্রতিশ্রুতি মেনে অভিনেতার পাশে ডিএমকে

২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তামিলনাড়ুর ৩৯টি কেন্দ্রের একটিতেও প্রার্থী দেয়নি কমলের দল এমএনএম। বরং নিঃশর্ত সমর্থন জানিয়েছিল ডিএমকে-কংগ্রেস-বাম জোটকে। সে সময়েই কমলকে একটি লোকসভা আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অথবা নির্বাচন-পরবর্তী রাজ্যসভায় আসন গ্রহণ করার বিকল্প প্রস্তাব দেওয়া দিয়েছিলেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০২৫ ১৩:৩৫
MNM chief and actor Kamal Haasan all set to enter the Rajya Sabha, poll deal with DMK in Tamil Nadu in the upcoming June 19 elections

গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

আর মাসখানেকের অপেক্ষা! তামিলনাড়ুতে ক্ষমতাসীন দল ডিএমকে-র সঙ্গে নির্বাচনী চুক্তি হয়েছিল আগেই। এ বার তাদের হাত ধরেই রাজ্যসভায় পা রাখতে চলেছেন তামিল তারকা কমল হাসন। আগামী ১৯ জুন আটটি রাজ্যসভা আসনে নির্বাচন রয়েছে, এর মধ্যে রয়েছে তামিলনাড়ুর ছ’টি এবং অসমের দু’টি আসন। সেখানেই কমলকে প্রার্থী করা হবে বলে জানিয়েছে ডিএমকে।

Advertisement

কমল ‘মক্কাল নিধি মইয়াম’ (এমএনএম)-এর প্রধান। এমএনএমের কোনও বিধায়ক না থাকলেও ডিএমকের সমর্থন পেলে যে কমলের জয় অনিবার্য, তা নিয়ে এক প্রকার নিশ্চিত। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে এমএনএম আনুষ্ঠানিক ভাবে ডিএমকে নেতৃত্বাধীন জোটে যোগ দেয়। তামিলনাড়ুর ৩৯টি কেন্দ্রের একটিতেও প্রার্থী দেয়নি তারা। বরং নিঃশর্ত সমর্থন জানিয়েছিল ডিএমকে-কংগ্রেস-বাম জোটকে। সে সময়েই কমলকে একটি লোকসভা আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অথবা নির্বাচন-পরবর্তী রাজ্যসভায় আসন গ্রহণ করার বিকল্প প্রস্তাব দেওয়া দিয়েছিলেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন। প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, সংসদের উচ্চকক্ষের ভোটে কমলকে সমর্থন করা হবে। সেই মতো এ বার প্রার্থী হচ্ছেন তামিল চিত্রতারকা।

এর আগে চলতি বছরের শুরুতে স্ট্যালিনের ঘনিষ্ঠ মন্ত্রী পিকে শেখর বাবু কমলের চেন্নাইয়ের বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকের পর শেখর সংবাদমাধ্যমকে জানান, কমলকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালন করবেন স্ট্যালিন। এর পর দলের অষ্টম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে ভাষণ দিতে গিয়ে আকারে-ইঙ্গিতে সংসদীয় রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশের কথা ঘোষণা করেন কমল নিজেও। ২৫ জুলাই তামিলনাড়ুর ছয় সাংসদ আনবুমনি রামাদোস, এন শন্মুগম, এন চন্দ্রশেখরন, এম মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, পি উইলসন এবং ভাইকো-র মেয়াদ শেষ হতে চলেছে। এই চারটি আসনের মধ্যে চারটি পেতে পারে ডিএমকে। বাকি দু’টি আসন যেতে পারে এআইডিএমকে-র হাতে।

উল্লেখ্য, ২০১৮-য় এমএনএম গড়ে সক্রিয় রাজনীতিতে পা রেখেছিলেন কমল। অথচ মজার কথা হল, ডিএমকে, এআইডিএমকে, বিজেপি এবং কংগ্রেসের চিরাচরিত রাজনীতির বিরোধিতা করতেই এমএনএমের জন্ম হয়েছিল! ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে মুখ থুবড়ে পড়ার পর ২০২৪ সালের ভোটে আর প্রার্থী দেয়নি তাঁর দল। তবে ২০২১ সালে বিধানসভায় কমল নিজে কোয়ম্বত্তুর থেকে লড়ে দ্বিতীয় স্থান পেয়েছিলেন।

Advertisement
আরও পড়ুন