Mumbai School Incident

‘এ সব এখন কমন,’ একাদশ শ্রেণির ছাত্রের সঙ্গে জোর করে ঘনিষ্ঠতা ইংরেজির দিদিমণির! মুম্বইয়ে গ্রেফতার

পুলিশি জেরায় শিক্ষিকা স্বীকার করেছেন নাবালক ছাত্রটির প্রতি তার দুর্বলতা তৈরি হয়েছিল। ছাত্রকে ‘ভাল লাগা’র শুরু ২০২৩ সালে। স্কুলের অনুষ্ঠানে ছেলেটির নাচ দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন তিনি।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৫ ১৪:৫৯
POCSO Case in Mumbai

গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

‘আরে এ সব এখন আকচার হয়।’ দিদিমণির কাছে এমন কথা শুনে ঘাবড়ে গিয়েছিল একাদশ শ্রেণির ছাত্রটি। বয়ঃসন্ধির কৌতূহল এবং দিদিমণির কাছ থেকে বার বার ‘প্রেমপ্রস্তাব’ পেয়ে সেই শুরু। অভিযোগ, তার পর থেকে গত এক বছর ৪০ বছর বয়সি ইংরেজির শিক্ষিকা যত্রতত্র নাবালক ছাত্রের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করেছেন। বিভিন্ন সময়ে ছাত্রকে যৌন নিপীড়ন করেন শিক্ষিকা। ছেলে অসুস্থ হয়ে পড়ার পর সব জেনে হতবাক পরিবার। তাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই শিক্ষিকাকে। ঘটনাটি ঘটেছে মুম্বইয়ের একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় শিক্ষিকা স্বীকার করেছেন নাবালক ছাত্রটির প্রতি তার দুর্বলতা তৈরি হয়েছিল। ছাত্রকে ‘ভাল লাগা’র শুরু ২০২৩ সালে। স্কুলের অনুষ্ঠানে ছাত্রের নাচ দেখে মুগ্ধ হয়ে যান তিনি। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ছাত্রের সঙ্গে ‘যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ’ আচরণ করেন।

ছাত্র প্রথমে দিদিমণির আবেদনে সাড়া দেয়নি। পড়ুয়ার এক বন্ধু পুলিশকে জানিয়েছে, ইংরেজির শিক্ষিকাই প্রেমের প্রস্তাব দেন। তার সহপাঠী প্রথমে রাজি হয়নি। কিন্তু দিদিমণি নাকি বলেন, ‘‘এ সব এখন ‘কমন’। ভয় পেয়ো না। সামলে নেব সব।’’ তার পর থেকে দিদিমণি-ছাত্রের প্রেমপর্ব শুরু।

তদন্তে উঠে এসেছে, নাবালক ছাত্রের সঙ্গে গত এক বছরে বিভিন্ন জায়গায় ঘনিষ্ঠ হয়েছেন চল্লিশের ওই শিক্ষিকা। ছেলেটি এ নিয়ে উদ্বেগে ভুগত। এ জন্য তাকে দুশ্চিন্তা দূর করার ওষুধ খাওয়াতেন শিক্ষিকা। কিছু দিন আগে ছেলেটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। তার পরেই বাড়ির লোকজন পুরো ঘটনা জানতে পেরে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে শিক্ষিকাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছেন। তবে এ-ও জানিয়েছেন, তিনি যা করেছেন ভালবাসা থেকে করছেন। ছাত্রের প্রতি তিনি অনুরক্ত। এ নিয়ে শোরগোল ওই স্কুলে। তবে স্কুল কর্তৃপক্ষ কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি।

এক তদন্তকারী অফিসার বলেন, ‘‘কিছু দিন আগে ওই শিক্ষিকা ছেলেটিকে গাড়ি করে নির্জন স্থানে নিয়ে যান। সেখানে জোর করে ছেলেটির পোশাক খোলেন এবং যৌন নির্যাতন করেন। পরের কয়েক দিন ধরে যখন ছাত্রটি উদ্বেগে ভুগছিল। উদ্বেগ কমানোর জন্য ছেলেটিকে কিছু ওষুধও খাওয়ান শিক্ষিকা।’’

Advertisement
আরও পড়ুন