Narendra Modi

পাক মহিলার আর্জি মোদীকে

নিকিতার দাবি, ‘‘আমি পাকিস্তানে আমার শ্বশুরবাড়িতে ফিরে দেখি সেখানকার লোকজনের আচরণ বদলে গিয়েছে। আমি জানতে পারি আমার স্বামী আমারই এক আত্মীয়ার সঙ্গে প্রেম করছেন। শ্বশুরমশাইকে বলতে তিনি বলেন, ছেলেরা প্রেম করে। কিছু করা যাবে না।’’

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৬:৪০
নরেন্দ্র মোদী।

নরেন্দ্র মোদী। — ফাইল চিত্র।

স্বামী তাঁকে ফেলে গিয়েছেন করাচিতে। দিল্লিতে গিয়ে তিনি গোপনে দ্বিতীয় বিয়ের আয়োজন করছেন। এমতাবস্থায় ভিডিয়ো প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাহায্য চাইলেন পাকিস্তানি নাগরিক নিকিতা নাগদেব। নিকিতা জানিয়েছেন, তিনি করাচির বাসিন্দা। পাক বংশোদ্ভূত বিক্রম নাগদেবকে বিয়ে করেন ২০২০ সালে। বিক্রম দীর্ঘমেয়াদি ভিসা নিয়ে ভারতের ইন্দোরে থাকেন। ২০২০ সালেই তাঁর স্বামী তাঁকে ভারতে নিয়ে আসেন। কিন্তু কয়েক মাসের মধ্যেই তাঁকে আটারি সীমান্তে ‘ভিসা সংক্রান্ত গোলযোগ’-এর ফলে ফেলে যান বিক্রম। তাঁকে পাকিস্তানে ফেরত পাঠানো হয়।

নিকিতার দাবি, তাঁকে ভারতে আনার আর কোনও চেষ্টাই করেননি বিক্রম। বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও। নিকিতার আরও দাবি, ‘‘আমি পাকিস্তানে আমার শ্বশুরবাড়িতে ফিরে দেখি সেখানকার লোকজনের আচরণ বদলে গিয়েছে। আমি জানতে পারি আমার স্বামী আমারই এক আত্মীয়ার সঙ্গে প্রেম করছেন। শ্বশুরমশাইকে বলতে তিনি বলেন, ছেলেরা প্রেম করে। কিছু করা যাবে না।’’ নিকিতার দাবি, বিক্রম দিল্লিবাসী এক মহিলাকে বিয়ে করার পরিকল্পনা করেছেন। যে হেতু বিক্রমের সঙ্গে এখনও তাঁর বিয়ে বৈধ তাই তিনি চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ভারতে অভিযোগ দায়ের করেন। মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্টের নির্দেশে সিন্ধি পঞ্চ মেডিয়েশন অ্যান্ড লিগাল কাউন্সেল সেন্টারে দু’পক্ষের দরকষাকষি হয়। বিক্রম ও তাঁর ‘বাগদত্তা’কে নোটিস পাঠানো হয়। কিন্তু মেডিয়েশন সেন্টার জানায়, স্বামী-স্ত্রী পাক নাগরিক। তাই এই সমস্যা পাকিস্তানের এক্তিয়ারে পড়ে। বিক্রমকে পাকিস্তানে ফেরত পাঠানোর সুপারিশ করে তারা।

আরও পড়ুন