Maoists Encounter

ছত্তীসগঢ়ে আবার মাওবাদী নিধন যৌথবাহিনীর, হত ছয়! উদ্ধার বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক ও অস্ত্র

নারায়ণপুর জেলা পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, গোপন সূত্রে তাঁরা খবর পান অবুঝমাঢ়ের জঙ্গলে মাওবাদীরা জড়ো হয়েছেন। তার পরেই শুরু হয় ‘ফরওয়ার্ড অপারেটিং বেস’ (এফওবি) থেকে অভিযান।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০২৫ ২১:৪০

প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

ছত্তীসগঢ়ের বস্তার ডিভিশন জুড়ে যৌথবাহিনীর অভিযানে মাওবাদীদের মৃত্যুমিছিল অব্যাহত। শুক্রবার নারায়ণপুর জেলার অবুঝমাঢ় অরণ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং রাজ্য পুলিশের অভিযানে নিহত হয়েছেন নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই (মাওবাদী)-র সশস্ত্র বাহিনী পিএলজিএ (পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মি)-র অন্তত ছ’জন জন জঙ্গির।

Advertisement

নারায়ণপুর জেলা পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, গোপন সূত্রে তাঁরা খবর পান অবুঝমাঢ়ের জঙ্গলে মাওবাদীরা জড়ো হয়েছেন। সেই খবর পেয়েই নারায়ণপুরের ‘ফরওয়ার্ড অপারেটিং বেস’ (এফওবি) থেকে অভিযান শুরু করে যৌথবাহিনী। জঙ্গল ঘিরে তল্লাশি শুরু করতেই মাওবাদীরা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে থাকে। পাল্টা গুলিতে নিহত হন আট জঙ্গি। কেন্দ্রীয় বাহিনী সিআরপিএফের পাশাপাশি ছত্তীসগঢ় পুলিশের ডিস্ট্রিক্ট রিজ়ার্ভ গার্ড (ডিআরজি) এবং ‘বস্তার ফাইটার্স’-এর মতো ইউনিট শুক্রবারের অভিযানে অংশ নিয়েছিল।

ঘটনাস্থল থেকে একটি একে-৪৭ স্বংয়ক্রিয় রাইফেল, সেল্ফ লোডিং রাইফেল (এসএলআর), বিস্ফোরক, ওয়াকিটকি, ক্যাম্পিং উপকরণ-সহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ২১ মে নারায়ণপুর জেলার জঙ্গলে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে ২৭ জন সঙ্গী-সহ সিপিআই(মাওবাদী)-র সাধারণ সম্পাদক নাম্বালা কেশব রাও ওরফে বাসবরাজ ওরফে গগন্না নিহত হয়েছিলেন। সেই এলাকার অদূরেই শুক্রবার ভোরে যৌথবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ছ’জন মাওবাদীর মৃত্যু হল।

Advertisement
আরও পড়ুন