তেজপ্রতাপ যাদব। — ফাইল চিত্র।
আবার বিতর্কে জড়ালেন লালুপ্রসাদ যাদবের জ্যেষ্ঠপুত্র তেজপ্রতাপ। তাঁর ব্যক্তিগত বাংলোর তিন বছরের বিদ্যুতের বিল বাকি। বকেয়ার পরিমাণ তিন লক্ষ ৬০ হাজার টাকা! বিল পরিশোধ না-করার পরেও কেন তাঁর বাংলোর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়নি, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
বিহারের বেউরে তেজপ্রতাপের একটি বাংলো রয়েছে। বিধায়ক থাকাকালীন দীর্ঘ দিন তিনি সরকারি বাংলোতে থাকতেন। মাঝেমধ্যেই নিজের ব্যক্তিগত বাংলোয় গিয়ে সময় কাটিয়ে আসতেন। তবে সেই বাংলোর বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না-করার অভিযোগ উঠল। ২০২২ সালের জুলাইয়ে শেষ বার ওই বাংলোর বিদ্যু়ৎ বিল দেওয়া হয়েছিল। তার পর থেকে আর কোনও টাকা দেওয়া হয়নি।
২০২২ সালের জুলাইয়ে যে বিল পরিশোধ করা হয়েছিল, তার পরিমাণ ছিল এক লক্ষ চার হাজার ৭৯৯ টাকা। তার পর থেকে টানা তিন বছর ওই বাংলোয় বিদ্যুতের ব্যবহার হলেও বিল মেটানো হয়নি। বিদ্যুৎ সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, মোট বকেয়া তিন লক্ষ ২৪ হাজার ৯৭৪ টাকা। কিন্তু দীর্ঘ দিন বিল জমা না-দেওয়ায় প্রায় ২৪ হাজার টাকার জরিমানাও হয়েছে।
প্রশ্ন, তিন বছর ধরে বিল বকেয়া সত্ত্বেও কেন বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়নি? সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী, পোস্টপেইড সংযোগের ক্ষেত্রে বকেয়া ২৫ হাজার টাকা হলেই বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। তা সত্ত্বেও তেজপ্রতাপের ক্ষেত্রে কেন ব্যতিক্রম? কেন তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি? বিদ্যুৎ সংস্থার নিরপেক্ষতা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
বিহারে স্মার্ট প্রিপেইড মিটার বসানো হয়েছে। তার পরেও তেজপ্রতাপের বাংলোয় এখনও কেন পোস্টপেইড সংযোগ রয়েছে, তা নিয়েও প্রশ্ন। তেজপ্রতাপের জন্য কি বিশেষ ছাড় না কি গাফলতি? বিষয়টি নজরে আসতেই শোরগোল পড়েছে বিহারে।