Madras High Court

প্রণামীবাক্সের টাকা ঈশ্বরের সম্পত্তি, জনগণের নয়! সরকারি কাজে বাধা দিয়ে বলল হাই কোর্ট

সম্প্রতি মন্দিরের তহবিল ব্যবহার করে বিয়ের হল তৈরির জন্য উদ্যোগী হয়েছিল তামিলনাড়ু সরকার। সেই মর্মে নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছিল। হাই কোর্ট তা খারিজ করে দিয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০২৫ ১২:৫৭
মন্দিরের তহবিল অন্য কাজে ব্যবহার করতে পারবে না সরকার, জানিয়েছে মাদ্রাস হাই কোর্ট।

মন্দিরের তহবিল অন্য কাজে ব্যবহার করতে পারবে না সরকার, জানিয়েছে মাদ্রাস হাই কোর্ট। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

মন্দিরের প্রণামীবাক্সের টাকা আদৌ জনগণের সম্পত্তি নয়। সরকারও সেই টাকা নিজেদের কাজে ব্যবহার করতে পারে না। একটি মামলার শুনানিতে এমনটাই মন্তব্য করল মাদ্রাস হাই কোর্ট। মন্দিরের তহবিলে যে টাকা জমা পড়ছে, তা ‘ঈশ্বরের সম্পত্তি’ বলে উল্লেখ করেছে আদালত। সুতরাং ওই টাকা ধর্মীয় কাজেই ব্যবহার করতে হবে।

Advertisement

সম্প্রতি মন্দিরের তহবিল ব্যবহার করে বিয়ের হল তৈরির জন্য উদ্যোগী হয়েছিল তামিলনাড়ু সরকার। সেই মর্মে নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছিল। কিন্তু এই সংক্রান্ত মামলা হাই কোর্টে যায়। মাদ্রাস হাই কোর্টের মাদুরাই বেঞ্চে তার শুনানি হয়েছে। সরকারি নির্দেশিকা বাতিল করে দিয়েছে আদালত। বিচারপতি এসএম সুব্রহ্মণ্যম এবং বিচারপতি জি অরুল মুরুগানের বেঞ্চ জানিয়েছে, যে কোনও মন্দিরে ঈশ্বরের নাম করে ভক্তেরা যে অর্থ দেন বা যে সম্পত্তি উৎসর্গ করেন, তার প্রকৃত মালিক ঈশ্বর। মন্দির কোনও লাভজনক সংস্থা নয়। ফলে তার তহবিল হিন্দু ধর্মীয় ও দাতব্য অনুদান আইনে বর্ণিত উদ্দেশ্যেই ব্যবহৃত হওয়া উচিত।

হিন্দু ধর্মীয় ও দাতব্য অনুদান আইনে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলির উপর সরকারের নজরদারির কথা বলা আছে। কিন্তু এ-ও বলা আছে, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের তহবিল যেন ধর্মীয় উদ্দেশ্যেই কাজে লাগানো হয়। ভক্তেরা যে উদ্দেশ্যে অর্থ বা সম্পত্তি দিচ্ছেন, তা যাতে পূরণ করা হয়। এটা সরকারের নিশ্চিত করার কথা। আদালত জানিয়েছে, মন্দির তহবিলের অর্থ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান, মন্দিরের রক্ষণাবেক্ষণ এবং উন্নয়নে ব্যবহার করা উচিত। অধর্মীয় কোনও কাজে এই অর্থ ব্যবহার করা যাবে না।

তামিলনাড়ু সরকার ঘোষণা করেছিল, রাজ্যের ২৭টি মন্দিরের তহবিল থেকে ৮০ কোটি টাকা নিয়ে বিয়ের হল তৈরি করা হবে। কিন্তু মন্দিরের তহবিল এ ভাবে ব্যবহার করা যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে আদালত। বিচারপতিদের মন্তব্য, ‘‘সরকার মন্দির তহবিলের অপব্যবহারের চেষ্টা করলে তা মেনে নেওয়া হবে না। এতে হিন্দুদের ধর্ম পালনের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হবে।’’

Advertisement
আরও পড়ুন