Umar Khalid Interim Bail

দিদির বিয়ে, এক বছর পর ফের অন্তর্বর্তী জামিন পেলেন উমর খালিদ! জেল থেকে বেরিয়ে মানতে হবে তিনটি শর্ত

আগামী ২৭ ডিসেম্বর উমরের দিদির বিয়ে। সেই উপলক্ষে অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। তাঁর আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত। তবে সেই সঙ্গে তিনটি শর্ত মানতেও বলা হয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৮:১৭
দিল্লি হিংসার ঘটনায় পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে জেল খাটছেন উমর খালিদ।

দিল্লি হিংসার ঘটনায় পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে জেল খাটছেন উমর খালিদ। —ফাইল চিত্র।

দিল্লি হিংসার ঘটনায় অভিযুক্ত উমর খালিদের অন্তর্বর্তিকালীন জামিনের আবেদন মঞ্জুর করল আদালত। রাজধানীর একটি আদালতে অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন উমর। চলতি মাসে তাঁর দিদির বিয়ে। সেই পারিবারিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে চেয়ে জামিনের আবেদন করেছিলেন। আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। দু’সপ্তাহের জন্য জেলের বাইরে থাকতে পারবেন দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী।

Advertisement

আগামী ২৭ ডিসেম্বর উমরের দিদির বিয়ে। সেই উপলক্ষে তিনি ১৪ ডিসেম্বর থেকে ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন। বিচারক জানিয়েছেন, ১৬ ডিসেম্বর থেকে ২৯ ডিসেম্বর, মোট ১৩ দিন জেলের বাইরে থাকতে পারবেন উমর। তবে তাঁকে বেশ কিছু শর্ত মানতে হবে। ২০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে উমরের ‌অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছেন বিচারক সমীর বাজপেয়ী।

আদালত জানিয়েছে, বিয়ের কনে আবেদনকারীর সত্যিকারের দিদি। তাই ব্যক্তিগত বন্ডে তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করা হচ্ছে। তবে এই সময়ের মধ্যে উমর সমাজমাধ্যম ব্যবহার করতে পারবেন না। শুধু পরিবারের সদস্য, আত্মীয়স্বজন এবং বন্ধুদের সঙ্গেই দেখা করতে পারবেন। বাড়ি এবং অনুষ্ঠানস্থল ছাড়া আর কোথাও যেতে পারবেন না। আবেদনপত্রে যে অনুষ্ঠানস্থলের কথা উমর উল্লেখ করেছেন, কেবল সেখানেই তিনি উপস্থিত থাকতে পারবেন।

পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে জেল খাটছেন জেএনইউ-এর ছাত্রনেতা উমর। এর আগে এক বার ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে তিনি অন্তর্বর্তী জামিন পেয়েছিলেন। তাঁর এক তুতো ভাই বা বোনের বিয়ে উপলক্ষে অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছিল আদালত। সে বার উমর জেল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন সাত দিনের জন্য। এ বারের ‘মুক্তি’র মেয়াদ আরও কিছুটা বেশি।

২০২০ সালের ফেব্রুয়ারির শেষপর্বে দিল্লিতে সিএএ বিরোধী বিক্ষোভ চলাকালীন গোষ্ঠীহিংসার ঘটনা ঘটেছিল। তাতে ৫৩ জন নিহত হয়েছিলেন। উমর ছাড়াও ওই মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন শারজিল ইমাম, মিরান হায়দার, গুলফিশা ফাতিমা এবং শিফা উর রহমান। দিল্লি পুলিশ দাবি করে, হিংসার ঘটনায় ‘অন্যতম মূল ষড়যন্ত্রকারী’ উমর। দিল্লি হাই কোর্ট গত ২ সেপ্টেম্বর উমরদের জামিনের আর্জি নাকচ করার পরে তাঁরা শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন। উমরদের সেই সাধারণ জামিনের মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। গত ১০ ডিসেম্বর এই সংক্রান্ত রায় স্থগিত রেখেছে শীর্ষ আদালত।

Advertisement
আরও পড়ুন