British Fighter Jet

জরুরি অবতরণের ৪৮ ঘণ্টা পরেও কেরলেই ‘বন্দি’ বিশ্বের সব চেয়ে দামি যুদ্ধবিমান! তৎপর হল বায়ুসেনা

যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে তড়িঘড়ি কেরলের তিরুঅনন্তপুরম বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করছিল ব্রিটেনের এফ-৩৫বি যুদ্ধবিমান। তার পর থেকে ৪৮ ঘণ্টারও বেশি সময় পেরিয়ে গিয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে দামি সেই যুদ্ধবিমান এখনও রয়েছে কেরলের বিমানবন্দরেই।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০২৫ ১৭:৩৬

ছবি: পিটিআই।

যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে তড়িঘড়ি কেরলের তিরুঅনন্তপুরম বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করছিল ব্রিটেনের এফ-৩৫বি যুদ্ধবিমান। তার পর থেকে ৪৮ ঘণ্টারও বেশি সময় পেরিয়ে গিয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে দামি সেই যুদ্ধবিমান এখনও রয়েছে কেরলের বিমানবন্দরেই।

Advertisement

রবিবার ভোরে কেরলের তিরুঅনন্তপুরম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে ব্রিটেনের রয়্যাল নেভির এফ-৩৫বি স্টেলথ ফাইটার জেটটি। খবর পেয়েই তৎপর হয় ভারতীয় বায়ুসেনা। ওই যুদ্ধবিমান ব্রিটেনের রণতরী ‘এইচএমএস প্রিন্স অফ ওয়েলস’-এর অংশ। সূত্রের খবর, বিমানে এখনও নানা যান্ত্রিক ত্রুটি রয়েছে। সে কারণেই বিমানটিকে এখনই রণতরীতে ফেরানো সম্ভব নয়।

সামরিক বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, যে কোনও বিদেশি যুদ্ধবিমানের ৪৮ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আটকে থাকা এমনিতেই বিরল ঘটনা। এফ৩৫ বিশ্বের অন্যতম দামি এবং উন্নতমানের যুদ্ধবিমান। অত্যন্ত সংকীর্ণ জায়গার মধ্যে থেকেও সেটি উড়তে বা নামতে পারে। মার্কিন সংস্থা ‘লকহেড মার্টিন’ এই বিমান তৈরি করে থাকে। মূলত আমেরিকা, ব্রিটেন এবং নেটো বাহিনীর কাছে এই বিমান রয়েছে। এই বিমান কোনও রকম ক্যাটাপুল্ট সিস্টেম ছাড়াই বিমানবাহী রণতরী থেকে উড়তে পারে। ইজ়রায়েল বর্তমানে ইরানে বোমা হামলা চালানোর জন্য এফ-৩৫ ব্যবহার করছে।

তবে নানা জনের নানা মত থাকলেও ভারতীয় বায়ুসেনা একে ‘স্বাভাবিক ঘটনা’ বলেই মনে করছে। ভারতের বায়ুসেনা জানিয়েছে, সে সময় ভারত মহাসাগরে ভারত এবং ব্রিটেনের নৌসেনার যৌথ মহড়া চলছিল। সেই মহড়ায় ব্রিটেনের যুদ্ধজাহাজ ‘এইচএমএস প্রিন্স অফ ওয়েলস’-ও যোগ দিয়েছিল। আর তাতেই ছিল এফ-৩৫বি যুদ্ধবিমানটি। কিন্তু বিমানে জ্বালানি কম থাকার দরুন আচমকা সেটিকে জরুরি অবতরণ করানোর প্রয়োজন পড়ে। পরে খারাপ আবহাওয়ার কারণে সেটি আর ‘এইচএমএস প্রিন্স অফ ওয়েলস’ যুদ্ধবিমান পর্যন্ত পৌঁছোতে পারেনি। সেই থেকে কেরলের বিমানবন্দরেই রয়েছে সেটি। ভারতীয় বায়ুসেনা জানিয়েছে, ‘এফ-৩৫বি’ যুদ্ধবিমানটিকে সব রকম ভাবে সাহায্য করা হচ্ছে। যদিও এ বিষয়ে ব্রিটেন সরকার বা যুদ্ধবিমান প্রস্তুতকারক সংস্থার তরফে কোনও বিবৃতি প্রকাশ করা হয়নি।

Advertisement
আরও পড়ুন