Saree Care Tips

পুজোয় জামদানি কিনেছেন? আলমারিতে তোলার আগে কোন ভুলগুলি করলে পরে আফসোস করতে হবে

জামদানি শাড়ির যত্ন না নিলে কিন্তু সেই শাড়ি ফেঁসে যেতে খুব বেশি সময় লাগে না। মা-দিদিমার আলমারিতে রাখা জামদানি শাড়িগুলিই হোক বা পুজোয় কেনা নতুন জামদানিটি— যত্নআত্তি না করলে কিন্তু পরে আফসোস করা ছাড়া আর উপায় থাকবে না।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০২৫ ১৪:৫১
জয়া আহসানের পরনে লাল রঙা জামদানি।

জয়া আহসানের পরনে লাল রঙা জামদানি। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।

পুজোর কেনাকাটা করবেন আর তাতে জামদানি থাকবে না, তা আবার হয় নাকি! সাদা হোক কিংবা রঙিন— একটা জামদানি শাড়ি পরে নিলে বিয়েবাড়ি থেকে জন্মদিনের নিমন্ত্রণ, অফিস পার্টি থেকে দুর্গাপুজো, সব অনুষ্ঠানেই আপনি হয়ে উঠতে পারেন অন্যন্যা।

Advertisement

জামদানি শাড়ি মূলত দু’ধরনের। সুতির জামদানি ও মসলিন জামদানি। বাজারে এখন ৬০০ টাকা থেকেও জামদানি পাওয়া যায়। তবে ভাল মানের সুতির জামদানি পেতে হলে ৩,০০০ থেকে ৩,৫০০ টাকা খরচ করতে হবে আপনাকে। আর ভাল মানের মসলিন জামদানি পেতে হলে খরচ পড়বে ৬০০০- ৮০০০ টাকা। বাংলাদেশি জামদানি কিনতে গেলে খরচ আরও বেশি। ১২০০০ টাকার কমে ভাল বাংলাদেশি জামদানি পাওয়া মুশকিল। দাম দিয়ে জামদানি কিনলেও সেই শাড়ি খুব বেশি পরা হয় না। জামদানি শাড়ির যত্ন না নিলে কিন্তু সেই শাড়ি ফেঁসে যেতে খুব বেশি সময় লাগে না। মা-দিদিমার আলমারিতে রাখা জামদানি শাড়িগুলিই হোক বা পুজোয় কেনা নতুন জামদানিটি— যত্নআত্তি না করলে কিন্তু পরে আফসোস করা ছাড়া আর উপায় থাকবে না।

কী ভাবে করবেন জামদানির যত্নআত্তি?

কী ভাবে করবেন জামদানির যত্নআত্তি? ছবি: ইনস্টাগ্রাম।

কী ভাবে নেবেন সাধের জামদানির যত্ন?

১) জামদানি শাড়ি ‘ড্রাই ওয়াশ’ করানোই শ্রেয়। এতে শাড়ির মান ভাল থাকে। বাড়িতে এই শাড়ি ধোয়ার চেষ্টা করবেন না। এই শাড়িতে জলের দাগ পড়তে খুব বেশি সময় লাগে না কিন্তু।

২) জামদানি শাড়ি পরার পর সঙ্গে সঙ্গে ভাঁজ করে তুলে রাখবেন না। পরার পর শাড়িটি হাওয়ায় রাখুন বেশ কিছু ক্ষণ। বাড়িতে সোফা কিংবা খাটের উপর মেলে রাখুন শাাড়িটি। আপনার ঘাম শাড়িতে থাকলে তা শুকিয়ে যাবে এই পদ্ধতিতে। এ ছাড়া শাড়ির ভাঁজ খুলে বারান্দাতেও হাওয়ায় শুকোতে দিতে পারেন। তবে সরাসরি রোদ যাতে না লাগে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকুন।

৩) এই শাড়ি আলমারিতে রাখার সময়েও সতর্ক থাকতে হবে। স্টিলের আলমারিতে রাখলে জামদামি ভাল থাকে। এই শাড়ির উপর অন্য কোনও ভারী শাড়ি চাপিয়ে রেখে দেবেন না যেন। চেষ্টা করুন সব শাড়ির উপরে এই শাড়ি রাখতে। আলমারির শাড়ি মাঝেমধ্যেই ভাঁজ খুলে আবার নতুন করে ভাঁজ খরে আলমারিতে তুলে রাখুন। এক ভাবে ভাঁজ করে রাখলে শাড়িটি খুব তাড়াতাড়ি ফেঁসে যেতে পারে।

৪) শাড়ি ইস্ত্রি করার সময়েও সতর্ক থাকতে হবে। শাড়ি উল্টো করে তার উপর সুতির পাতলা কাপড় রেখে ইস্ত্রি করুন। তবেই শাড়ির মান ঠিক থাকবে।

৫) শাড়ির উপর সরাসরি পারফিউম লাগাবেন না, এতে শাড়ির উপর দাগ ধরে যেতে পারে। মাঝে মাঝেই শাড়ির ভাঁজ খুলে হাওয়ায় শুকোতে দিন। তবে সরাসরি রোদ যাতে না লাগে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকুন।

Advertisement
আরও পড়ুন