ঘরে তৈরি সিরামেই চুল পড়া বন্ধ হবে। ছবি: ফ্রিপিক।
কেবল বর্ষায় নয়, সারা বছর ধরেই চুল পড়ার সমস্যা নিয়ে কমবেশি সকলেই নাজেহাল। অত্যধিক মানসিক চাপ, অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়ার অভ্যাস, রাসায়নিকের ব্যবহার ও দূষণের বাড়বাড়ন্তের জেরে চুলের ক্ষতি হচ্ছে। চুল পড়া কেবল নয়, অকালে চুল পড়ার সমস্যাতেও জেরবার অনেকে। এখন মনে হতেই পারে, চুলের জন্য এত রকম প্রসাধনী ব্যবহার করেও কেন লাভ হচ্ছে না? তা হলে কি যত্নে খামতি থাকছে? আসল ব্যাপার হল, চুলের যত্নে ঠিক যা যা করা দরকার, তা সঠিক ভাবে করেন না অনেকেই। চুল পড়া বন্ধ করতে অত্যধিক রাসায়নিক দেওয়া প্রসাধনী নয়, ঘরে সিরামই যথেষ্ট। কী ভাবে বানাবেন, রইল তিন কৌশল।
হেয়ার সিরাম কী ভাবে বানাবেন?
সিরাম তেলের মতো ঘন নয়, আবার জলের মতো পাতলাও নয়। একেবারে গোড়ার দিকে সিরাম ব্যবহার করা হত চুল জটমুক্ত করার জন্য। তবে এখন চুলের নানা ধরনের সমস্যা সমাধানেও ব্যবহার করা হয় সিরাম। হেয়ার সিরাম চুলে মেখে নিলে রুক্ষ চুল নরম ও মসৃণ হবে। সূর্যের অতিবেগনি রশ্মি থেকেও চুলকে বাঁচাতে পারে সিরাম।
কোরিয়ান সিরাম
২ চামচ অ্যালো ভেরা জেল, ১ চামচ চাল ভেজানো জল, ৪-৫ ফোঁটা রোজমেরি অয়েল, ১ চামচ গ্লিসারিন নিতে হবে। সমস্ত উপকরণ খুব ভাল করে মিশিয়ে একটি পরিষ্কার কাচের শিশিতে রেখে দিন। শ্যাম্পু করা চুল শুকিয়ে যাওয়ার পর ড্রপারের সাহায্য মাথার ত্বকে কয়েক ফোঁটা দিয়ে মৃদু চাপ দিয়ে তা মালিশ করতে হবে। চুলের উপর যেন সিরামের পরত লেগে থাকে।
গ্রিন টি-অ্যালো ভেরার সিরাম
প্রথমে গ্রিন টি বানিয়ে নিন। এক কাপ মতো চা বানিয়ে ঠান্ডা হতে দিন। এ বার তাতে ২ চা-চামচ অ্যালো ভেরা জেল ও ১ চামচ মধু মিশিয়ে ভাল করে নাড়ুন। মিশ্রণ সুন্দর জেলের মতো হবে। শ্যাম্পু করার পরে চুল শুকনো করে মুছে নিয়ে এই সিরাম মাখতে পারেন। এতে চুল রুক্ষ হবে না। চুল পড়াও বন্ধ হবে।
পেঁয়াজের রস-অলিভ অয়েলের সিরাম
পেঁয়াজ বেটে রস বার করে নিন। এ বার দু’চামচ পেঁয়াজের রস, ১ চামচ অলিভ অয়েল আর ১ চামচ মধু ভাল করে মিশিয়ে চুলে লাগিয়ে নিন। আধ ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে নিন। সপ্তাহে দুই থেকে তিন বার এই সিরামেই বাড়বে চুলের ঔজ্জ্বল্য। চুলের গোড়া মজবুত হবে, চুল পড়ার সমস্যাও কমবে।