Hair Pack

চুলের জন্য অ্যালো ভেরা ভাল, চিয়াও কম উপকারী নয়, দুই জিনিস মিশিয়ে মাখলে কি বেশি লাভ?

চুলের যত্নে অ্যালো ভেরা মাখাও হয়। ইদানীং কেশচর্চায় জায়গা করে নিয়েছে চিয়াবীজও। দুই উপকরণ মিশিয়ে নিলে কি বাড়তি লাভ হবে?

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০২৫ ১৪:২৪
অ্য়ালো ভেরা, চিয়া একসঙ্গে মিশিয়ে চুলের প্যাক কী ভাবে বানাবেন?

অ্য়ালো ভেরা, চিয়া একসঙ্গে মিশিয়ে চুলের প্যাক কী ভাবে বানাবেন? ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।

চুলের জন্য যে সমস্ত প্রাকৃতিক উপাদানের ব্যবহার রয়েছে, অ্যালো ভেরা তার মধ্যে একটি। ঘৃতকুমারী নামের গাছটি ভেষজগুণে ভরপুর। শুধু রূপচর্চায় নয়, শরীর ভাল রাখতেও অ্যালো ভেরার রস খাওয়ার চল আছে।

Advertisement

আবার স্বাস্থ্য সচেতন মানুষজনের ডায়েটে জায়গা করে নেওয়া চিয়াবীজও নতুন করে রূপচর্চার জায়গা করে নিয়েছে। ফাইবার, ভিটামিন, খনিজে ভরপুর চিয়ার পুষ্টিগুণই চুল ভাল রাখার নেপথ্যে রয়েছে।

কেন চুলের জন্য ভাল অ্যালো ভেরা

· আ্যলো ভেরায় রয়েছে ভিটামিন এ, সি এবং ই। যা মাথার ত্বকে নতুন ফলিকল তৈরিতে সাহায্য করে।

· চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখে ফলিক অ্যাসিড। এই ভেষজের মধ্যে সেই খনিজ রয়েছে।

· মাথার ত্বকে জমে থাকা মৃত কোষ দূর করতে সাহায্য করে অ্যালো ভেরায় থাকা উপাদান।

চুলের জন্য চিয়া কেন বেছে নেবেন?

· চিয়ায় প্রোটিনের মাত্রা বেশি। চুলের গোড়া মজবুত করার জন্য প্রোটিন গুরুত্বপূর্ণ। ক্ষতিগ্রস্ত, নিষ্প্রাণ চুল ঝলমলে হয়ে ওঠে চিয়ার তেল মাখলে বা চিয়া ভিজিয়ে লাগালে।

· চিয়া বীজে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে। এই উপাদানটি মাথার ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

· অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর চিয়াবীজ। ফ্রি র‌্যাডিক্যালের প্রভাবে শরীরের পাশাপাশি চুলেরও ক্ষতি হয়। তা রুখতে পারে চিয়া।

দু’টি মিশিয়ে মাখলে কী উপকার?

চিয়া এবং অ্যালো ভেরার গুণের সমন্বয় হতে পারে দু’টি মিশিয়ে বিশেষ জেল তৈরি করলে। এই জেল মাথায় মাখা যাবে স্পা ক্রিমের মতো। স্পা করলে যেমন চুল স্বাস্থ্যোজ্জ্বল দেখায়, এতেও তেমনই কাজ হবে।

কী ভাবে বানাবেন?

২ টেবিল চামচ চিয়া ছোট এক কাপ জলে ভিজিয়ে রাখুন অন্তত এক ঘণ্টা। চিয়া জলে ভিজে গিয়ে জেলের আকার নেবে। এর সঙ্গে যোগ করুন আধ কাপ অ্যালো ভেরা জেল। মিক্সারে দুই উপকরণ মিশিয়ে নিন। যোগ করুন ১ টেবিল চামচ নারকেল তেল বা ক্যাস্টর অয়েল।

শ্যাম্পু করে চুল তোয়ালে দিয়ে মোছার পরে ক্রিমের মতো মিশ্রণটি লাগিয়ে নিন। খেয়াল রাখতে হবে, গোড়া থেকে চুলের আগা পর্যন্ত যেন তা লাগে।মিনিট দশেক হালকা মাসাজ় করে নিন। আধ ঘণ্টা মাথায় বসতে দিয়ে আবার শ্যাম্পু করে নিন।

মাসে দু’বার ব্যবহার করলেও ধীরে ধীরে রুক্ষ চুল মসৃণ, নরম হবে, হয়ে উঠবে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল।

Advertisement
আরও পড়ুন