Kesar for Skin

শীতের শুরুতেই ত্বকে নিস্তেজ ভাব! চটজলদি জেল্লা ফেরাতে ৫-৬টি কেশরই যথেষ্ট, কী ভাবে মাখবেন

আজ যখন বাজারজাত প্রসাধনীর চেয়ে ঘরোয়া উপাদানে ভরসা বেড়েছে নতুন প্রজন্মের, তখন কেশর ব্যবহার করে ত্বকচর্চা করা যেতে পারে। নিস্তেজ, ক্লান্ত ত্বকে স্বাভাবিক জেল্লা, দীপ্তি ফেরাতে কার্যকরী হতে পারে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২৫ ১৪:০৬
শীতে কেশরে রূপচর্চা।

শীতে কেশরে রূপচর্চা। ছবি: সংগৃহীত।

শীতের শুরু মানেই ত্বক নিজস্ব জেল্লা হারাতে শুরু করে, নিস্তেজ হয়ে আসে। চোখে-মুখে শুষ্কতা, ক্লান্তির ছাপ। এমন সময়েই কাজে আসতে পারে কেশর বা জাফরান। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে শুধু রন্ধনশিল্পে নয়, রূপচর্চার ক্ষেত্রেও বড় ভূমিকা পালন করে এসেছে এটি। সেই প্রাচীন পন্থা সাম্প্রতিক যুগেও সমস্যার সমাধান করতে পারে। আজ যখন বাজারজাত প্রসাধনীর চেয়ে ঘরোয়া উপাদানে ভরসা বেড়েছে নতুন প্রজন্মের, তখন কেশর ব্যবহার করে ত্বকচর্চা করা যেতে পারে। নিস্তেজ, ক্লান্ত ত্বকে স্বাভাবিক জেল্লা, দীপ্তি ফেরাতে কার্যকরী হতে পারে।

Advertisement

বাজারজাত, প্রক্রিয়াজাত প্রসাধনীতে যদিও কেশরের ব্যবহার শুরু হয়েছে। আবার ফেস সিরাম, ফেস মাস্কের মতো নানা পণ্যের লেবেল খুঁজলে জাফরানের নির্যাস পেতে পারেন। তবে তার থেকে কার্যকরী উপায়ে নিজেই বাড়িতে বানিয়ে নিতে পারেন কেশরসমৃদ্ধ মাস্ক। তবে তার আগে জেনে নিতে হবে, কেন শীতের সময়ে কেশর ত্বকের স্বাস্থ্য ফেরানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

ঠান্ডার মরসুমে ত্বক জলশূন্যতায় ভুগতে শুরু করে। ফলে দ্রুত টান ধরে চামড়ায়, খসখসে হয়ে যায় সারা দেহ। কিন্তু জাফরানে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট যেমন ক্রোসিন এবং ক্রোসেটিন। এগুলি ত্বকের কোষে নতুন প্রাণ এনে দেয়। তা ছাড়া ত্বকের রক্তসঞ্চালন বাড়ায়, ফ্রি র‌্যাডিক্যালের ক্ষতি ঠেকায় এবং শুষ্কতা কমিয়ে দেয়। ফলে ত্বক হয় উজ্জ্বল, কোমল, চকচকে। ফেসিয়ালের পর ত্বক যেমন হাইড্রেটেড দেখায়, ঠিক তেমনই আভা এনে দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে কেশরের। উপরন্তু ভিটামিন বি২, বি৩, ক্যারোটিনয়েডস সমৃদ্ধ কেশর ত্বককে টানটান ও কোমল করে তুলতে পারে।

কেশরের সঙ্গে কী কী মিশিয়ে ফেস মাস্ক বানাবেন?

কেশরের সঙ্গে কী কী মিশিয়ে ফেস মাস্ক বানাবেন? ছবি: সংগৃহীত।

কী ভাবে বাড়িতেই কেশর দিয়ে মাস্ক বানাবেন?

সবচেয়ে কার্যকরী এবং সহজ উপায়ে ত্বকচর্চা করতে হলে কেশর দুধের মাস্ক তৈরি করে নিতে পারেন। তার জন্য বেশি পরিশ্রমের প্রয়োজন নেই। জেনে নিন পদ্ধতি। সঙ্গে আরও দু’ধরনের মাস্কের প্রস্তুত প্রণালী দেওয়া হল।

১. কেশর দুধের মাস্ক

উপকরণ

৪-৫টি কেশর

২ টেবিল চামচ কাঁচা দুধ

১ চা চামচ মধু

পদ্ধতি

সারা রাত দুধে কেশরগুলি ভিজিয়ে রাখুন (কেউ কেউ ৩-৪ ঘণ্টাও রাখতে পারেন)। দুধে হালকা সোনালি রং ধরলে তাতে মধু মিশিয়ে মুখে, গলায়, হাতে মেখে নিন। অন্তত ২০ মিনিট রেখে ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এর ফলে ত্বক হাইড্রেটেড হওয়ার পাশাপাশি পুষ্টির জোগান বজায় থাকে। শীতের সকালের জন্য এই মাস্ক উপযুক্ত।

২. জাফরান-অ্যালো ভেরা প্যাক

উপকরণ

১ টেবিল চামচ অ্যালো ভেরা জেল (গাছ থেকে টাটকা নিলে ভাল)

৩-৪টি জাফরান

পদ্ধতি

অ্যালো ভেরা জেলে জাফরানগুলি ভিজিয়ে রেখে দিন কয়েক ঘণ্টা। তার পর সেটি মুখে-গলায় মেখে নিন। রাতে ঘুমোনোর আগে মাখলে সবচেয়ে ভাল ফল পাওয়া যাবে। সকালে উঠে জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এতে কালো দাগ ও ছোপ মিলিয়ে যেতে পারে, ক্লান্তি ঘুচে সতেজ হতে পারে ত্বক।

৩. কেশর-চন্দনের প্যাক

উপকরণ

৫-৬টি জাফরান

১ টেবিল চামচ গোলাপজল

১ টেবিল চামচ চন্দনগুঁড়ো

পদ্ধতি

কয়েক ঘণ্টা গোলাপজলে কেশর ভিজিয়ে রেখে তার পর তাতে চন্দনগুঁড়ো মিশিয়ে দিন। তার পর মিহি একটি মিশ্রণ বানিয়ে গলায় ও মুখে মেখে নিন। পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। কোথাও কোনও অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে চটজলদি ত্বকে জেল্লা আনতে এই পদ্ধতিতে রূপচর্চা করতে পারেন।

Advertisement
আরও পড়ুন