বর্ষায় শাড়ি পরার স্টাইলে বদল আনুন আলিয়ার মতো। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
শাড়িপ্রেমীদের কাছে বর্ষাকাল তেমন সুখের নয়। এই মরসুমে তাই ইচ্ছে থাকলেও শাড়িকে ব্রাত্য রাখেন অনেকেই। জল-কাদার ঝঞ্ঝাট এড়িয়ে শাড়ি পরার ঝুঁকি নিতে চান না। বিয়েবাড়ির নিমন্ত্রণ হোক কিংবা অফিসের পার্টি, বর্যায় শাড়ি পরতে হলেই মাথায় চিন্তার ভাঁজ পড়ে যায়! বর্ষাকালে শাড়ি পরতে হলে কয়কটি কথা মাথায় রাখা জরুরি, যাতে সাজ হয়ে ওঠে সুন্দর এবং চলাফেরা করতেও অসুবিধা না হয়।
১) বর্ষাকালে খুব ভারী শাড়ি পড়লে অনেক সময়ে তা পায়ে জড়িয়ে যায়। ফলে কী ধরনের শাড়ি পরবেন, তা খেয়াল করা দরকার। শাড়ি যত হালকা হবে, বর্ষার সাজ ততই আরামদায়ক হবে। এই মরসুমে শিফন, সিল্ক, জর্জেটের মতো শাড়ি বেছে নিতে পারেন। সুতির শাড়িতে কাদার দাগ বসে যেতে সময় লাগে না, তাই তা এড়িয়ে চলাই ভাল।
২) হালকা কিংবা প্যাস্টেল শেডের শাড়ি নয়, বর্ষায় গাঢ় রঙের শাড়ি পরুন। জল-কাদার দাগ থেকে রেহাই পেতে এই টোটকা মেনে চলুন। গোলাপি, বেগনি, লাল, হলুদ, নীলের বিভিন্ন শেড বেছে নিতে পারেন। কাদা বা ময়লা লেগে গেলে সেটা তুলতেও খুব সমস্যা হবে না রং গাঢ় হলে।
৩) অনেকের সুতো, জরি, চুমকির কাজ করা শাড়ি পছন্দ। কিন্তু বর্ষাকাল তেমন পোশাকের জন্য উপযুক্ত নয়। হালকা বৃষ্টিতেও নষ্ট হয়ে যেতে পারে শাড়ির কারুকাজ। তাই এ সময়ে সুতো-জরির কাজ ছাড়া শাড়ি পরাই সুবিধাজনক।
৪) অনেকেই আঁচল খোলা রেখে শাড়ি পরতে পছন্দ করেন। তবে বর্ষাকালে খোলা আঁচল মাটিতে লুটিয়ে পড়লে জল-কাদায় নষ্ট হয়ে যেতে সময় লাগবে না। তাই এই সময় শাড়ি প্লিট করে পরাই ভাল। বিভিন্ন ধরনের ড্রেপিং স্টাইল এইন ফ্যাশনে ভীষণ ‘ইন’। তাই শাড়ির আঁচলটি অন্য কায়দায় জড়িয়ে ভিড়ের মাঝে নজর কাড়তেই পারেন।
৫) কেবল শাড়ি পরলেই হল না, শাড়ির সঙ্গে হিল পরতে ভালবাসলেও বর্ষায় কিন্তু খুব বেশি উঁচু হিল না পরাই ভাল। ফ্ল্যাট জুতো কিংবা ব্যালেরিনা বর্ষার জন্য ভাল। অনেকেই অনুষ্ঠানে একটু কারুকাজ করা জুতো পরেন। কিন্তু হাঁটার সময়ে তাতে শাড়ি আটকে ছিঁড়ে যেতে পারে। এই সমস্যা এড়াতে জুতোর উপর মোমের ফোঁটা ফেলে পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ঘষে নিতে হবে। তা হলে জুতোর চাকচিক্যও বাড়বে আর জুতোর উপরে থাকা পাথর বা কারুকাজের উপরিতল মসৃণ হয়ে তাতে শাড়ি আটকানোর সম্ভাবনাও কমবে।