চন্দনকাঠের গুঁড়ো দিয়ে বানিয়ে নিন ফেসপ্যাক। ছবি: সংগৃহীত।
ত্বকচর্চায় চন্দনগাছের সুগন্ধি কাঠের গুঁড়োর অবদান বহু শতাব্দী ধরেই স্বীকৃত। চন্দনের ব্যবহার সেকেলে হলেও উপকারিতা নিয়ে সন্দেহের উদ্রেক হয়নি অধিকাংশের মনে। তবে খাটনির কথা ভেবে অনেকেই চন্দন ব্যবহার করতে চান না। গুঁড়ো হোক বা মিশ্রণ, উপকরণটি বানাতেই অনেক সময় লেগে যায়। কিন্তু আজকাল চন্দনকাঠের গুঁড়ো পাওয়া যায় দোকানেই। তাই দ্রুত গতির জীবনেও চন্দন ব্যবহার করে ত্বকের যাবতীয় সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
কী কী উপকারিতা রয়েছে চন্দনগুঁড়োর?
১. ব্রণ দূর করে
চন্দনকাঠের গুঁড়ো প্রদাহনাশী এবং জীবাণুর সঙ্গে লড়াই করতে পারে। ব্যাক্টেরিয়ার সঙ্গে মোকাবিলা করতেও সক্ষম এই কাঠ। ফলে ত্বকে লালচে ভাব কমাতে পারে এবং ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে। তা ছাড়া ত্বকের শুষ্কতা না বাড়িয়েই অতিরিক্ত তেল উৎপাদন কমাতে পারে।
২. ত্বকে ঔজ্জ্বল্য আনে
ত্বক নিস্তেজ হয়ে এলে চন্দনকাঠের গুঁড়ো ব্যবহার করতে পারেন। কারণ এটি ত্বকে ঔজ্জ্বল্য আনতে সক্ষম। রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে এবং মৃত ত্বকের কোষকে ঝরে পড়তে সাহায্য করে। ফলে ত্বকের কোমলতা বাড়ে। কালো ছোপ থাকলে, তা-ও ধীরে ধীরে মিলিয়ে যায়।
তৈলাক্ত ত্বকের থেকে রেহাই পেতে চন্দনকাঠের জুড়ি মেলা ভার। ছবি: সংগৃহীত।
৩. ত্বকে জ্বালা ভাব প্রশমিত করে
‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেল্থ’-এর বক্তব্য অনুযায়ী, চন্দনের মধ্যে শীতলীকরণ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তা ছাড়া প্রদাহনাশী তো বটেই। তাই রোদে পোড়া, ফুস্কুড়ি, জ্বালা ভাব প্রশমিত করার জন্য উপযুক্ত চন্দন। রোদে পোড়া ত্বকের মেরামতির জন্য চন্দনের পেস্ট লাগালে সঙ্গে সঙ্গে আরাম মিলতে পারে।
৪. বার্ধক্যের ছাপ দূর করে
স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর চন্দনকাঠ। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে মুখে যে বলিরেখা বা কালো দাগ পড়ে, তা সারাতে এটি বেশ কার্যকরী। যে সমস্ত ফ্রি র্যাডিক্যাল অকালবার্ধক্যের ছাপ এনে দেয় চেহারায়, সেগুলির সঙ্গেও মোকাবিলা করতে পারে। পাশাপাশি কোলাজ়েন উৎপাদন বাড়াতে পারে বলে ত্বক থাকে উজ্জ্বল, কোমল ও নরম।
৫. প্রাকৃতিক তেল নিয়ন্ত্রণ
তৈলাক্ত ত্বকের থেকে রেহাই পেতে চন্দনকাঠের জুড়ি মেলা ভার। ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা নষ্ট না করেই সেবাম উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করতে পারে চন্দনকাঠ। মুখের তেলচিটে ভাব কমিয়ে আনতে পারে।
কী ভাবে ব্যবহার করবেন চন্দনকাঠের গুঁড়ো?
এক চা চামচ চন্দনগুঁড়োতে মিশিয়ে দিন গোলাপ জল, দুধ বা মধু। সেই মিশ্রণটি ১০-১৫ মিনিটের জন্য মুখে মেখে রাখুন। তার পর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২-৩ বার এই সাজ-কৌশল প্রয়োগ করে দেখুন, উপকার মিলতে পারে।