ছবি : সংগৃহীত।
লিপবাম কেনার সময় অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্যাকেজিং, রং আর গন্ধেই গুরুত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু ঠোঁটের যত্ন নেওয়ার জন্য শৌখিন দেখতে বা গন্ধের লিপবাম নয়, ভাল উপাদান দেখে নেওয়া জরুরি। কারণ সুগন্ধ এবং ভাল রঙের লিপবামে এমন কিছু রাসায়নিক থাকে, যা দীর্ঘমেয়াদে ঠোঁটের সুরক্ষাস্তর নষ্ট করে এবং ঠোঁটের ক্ষতি করতে পারে।
১. কী থাকা দরকার?
ভাল লিপবামে আর্দ্রতা ধরে রাখা এবং ত্বকের ক্ষতি মেরামত করার জন্য যা যা থাকা জরুরি।
হিউমেক্ট্যান্ট : বাতাসের রুক্ষতা সত্ত্বেও ঠোঁটের আর্দ্রতা বজায় রাখে। গ্লিসারিন বা হায়ালুরোনিক অ্যাসিড এই কাজে পটু।
ইমোলিয়েন্ট : ঠোঁটকে নরম ও মসৃণ করে ইমোলিয়েন্ট। রয়েছে শিয়া বাটার, কোকো বাটার, জোজোবা অয়েল বা নারকেল তেলে।
সিরামাইড ও ভিটামিন ই: ঠোঁটের প্রাকৃতিক সুরক্ষা স্তর শক্তিশালী করতে এবং ক্ষত সারাতে এই দুই উপাদানই দারুণ কাজ করে।
২. কী থাকা ক্ষতিকর?
অনেক সময় লিপবাম ব্যবহার করার পর ঠোঁট আরও বেশি শুকিয়ে যায়। তার কারণ হল, এমন কিছু উপাদান, যা ঠোঁটকে সাময়িক আরাম দিলেও দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতি করে। সেগুলি কী কী জেনে নিন।
মেন্থল, কর্পূর বা ফেনল: এ গুলি ঠোঁটে ঠান্ডা অনুভূতি দিলেও ঠোঁটকে দ্রুত শুষ্ক করে দেয়।
প্যারাবেন ও সুগন্ধি: কৃত্রিম সুগন্ধি বা ফ্লেভার দেওয়া লিপবাম সংবেদনশীল ঠোঁটে ব্যবহার করলে অ্যালার্জি বা জ্বালাভাব হতে পারে।
অ্যালকোহল: এতেও ঠোঁটের আর্দ্রতা নষ্ট হয়
৩. এসপিএফ খুঁজুন
ত্বকের মতো ঠোঁটেরও যে রোদ থেকে সুরক্ষার দরকার, তা অনেকেই ভুলে যান। সূর্যের অতিবেগনি রশ্মি ঠোঁটের চামড়া পাতলা করে দেয় এবং কালো দাগ তৈরি করে। তাই দিনের বেলা ব্যবহারের জন্য অন্তত এসপিএফ ১৫ বা তার বেশি এসপিএফ রয়েছে এমন লিপবাম বেছে নিন।