Avacado Growing Tips

দামী ফলের তালিকায় পড়ে অ্যাভোকাডো, তা কি বাড়িতেও ফলানো যায়?

মূলত মেক্সিকো, গুয়াতোমেলায় অ্যাভোকাডোর চাষ হয়। বিদেশি গাছটি ভারতেও কেউ কেউ চাষ করছেন। বাড়িতে গাছ-গাছালির শখ থাকলে টবেই ফলাতে পারেন অ্যাভোকাডো।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২৫ ২০:১৬
অ্যাভাকাডো ফলুক বাড়িতেই। কী ভাবে বড় করবেন গাছটি?

অ্যাভাকাডো ফলুক বাড়িতেই। কী ভাবে বড় করবেন গাছটি? ছবি:ফ্রিপিক।

দাম আকাশ ছোঁয়া, পুষ্টিগুণও তেমনই। সবুজ রঙের লম্বাটে ফল অ্যাভোকাডো। এই ফলের গুণ নিয়ে চর্চা হতে অনেকেই উৎসাহী হয়ে অ্যাভোকাডো কিনছেন।

Advertisement

মূলত মেক্সিকো, গুয়াতোমেলায় অ্যাভোকাডোর চাষ হয়। তবে এখন ভারতেও কোনও কোনও উৎসাহী উদ্যানপালক অ্যাভোকাডো চাষ করছেন। বাড়িতে গাছ-গাছালির শখ থাকলে টবেই ফলাতে পারেন অ্যাভোকাডো।

কী ভাবে টবে বড় করবেন এই গাছ?

প্রজাতি: অ্যাভোকাডোর বিভিন্ন রকম প্রজাতি রয়েছে। ঘরে সবরকম প্রজাতির গাছ হয় না। কয়েকটি গাছ ছোট হয়, টবের উপযোগী। এরকম প্রজাতি বেছে নেওয়া দরকার। এর মধ্যে পড়ে ‘ওয়ার্টজ়’, ‘লিট্ল কাডো’।

টব: অ্যাভোকাডো গাছের জন্য বেশ বড় টবের দরকার। আর তার জল নিষ্কাশন ব্যবস্থাটিও ভাল হতে হবে। শুরুতে ১২-১৬ ইঞ্চি টব নিতে পারেন। চারা একটু বড় হলেই বড় টবে স্থানান্তর করতে হবে।

মাটি: মাটির জল নিষ্কাশন ব্যবস্থা অত্যন্ত ভাল হওয়া প্রয়োজন। পিএইচ মাত্রা ৬ থেকে ৬.৫ হলে ভাল। শুরুতেই যদি মাটিতে নিম খোল, বাদাম খোল, শিং গুঁড়োর মতো কিছু সার নির্দিষ্ট পরিমাণে যোগ করা যায় গাছ ভাল হবে।

সূর্যালোক: ঘরের ভিতরে যদি গাছ রাখেন তা হলে ৬-৮ ঘণ্টা সূর্যালোক দরকার। এ ক্ষেত্রে গাছ রাখতে হবে জানলার ধারে। সরাসরি রোদেও গাছ রাখা যাবে।

জল: এই গাছের জন্য প্রচুর জল দরকার। তবে গোড়ায় জমলে ক্ষতি। জল দেওয়ার আগে টবের মাটি পরীক্ষা করে নিন। মাটির উপরিভাগ শুকিয়ে গেলে জল দিতে হবে।

সার: নাইট্রোজেন, ফসফরাস পেন্টোক্সাইড, পটাশিয়াম অক্সাইডের প্রয়োজন হয় দরকারমতো। জৈব সার হিসাবে নিম খোল, বাদাম খোল ব্যবহার করা যায়।

যত্ন, পরিবেশ, প্রজাতি অনুযায়ী নির্ভর করবে ফল আসতে কত সময় লাগবে। মোটামুটি ২-৩ বছর লেগেই যায় ফল ধরতে।

Advertisement
আরও পড়ুন