গৃহসজ্জার অদলবদল হোক প্রায়শই। ছবি: সংগৃহীত।
কেবল মন ভাল করার জন্য নয়। গৃহসজ্জায় আসবাবপত্রের জায়গা পরিবর্তন করার একাধিক গুরুত্ব রয়েছে। প্রয়োজন এবং কার্যকারিতার জন্য অনেক সময়ে কিছু আসবাব বছরের পর বছর একই জায়গা দখল করে থাকে। তাতে একপ্রকার চোখ সয়ে যায়। চোখ বন্ধ করে ফেললেও ঘরে হেঁটে বেড়াতে কোনও অসুবিধা হয় না। অন্যটা করলে কেমন লাগবে, তা নিয়ে অনেকেই ভাবিত হন না। কিন্তু আলস্য কাটিয়ে সোফা, আলমারি, আয়না, সিন্দুক, টেবিল-চেয়ারের মতো জিনিসগুলি যদি একটু এ ঘর-ও ঘর করা যায়, তাতে নতুন ভাবে নিজের আস্তানাকে দেখার সুযোগ মেলে। তা ছাড়া গৃহসজ্জার নিরিখে নানা উপকারিতা রয়েছে।
গৃহসজ্জায় অন্য মাত্রা আনতে আসবাবপত্রের অবস্থান মাঝেমধ্যে বদলানো কেন প্রয়োজন?
১। প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে ঘর: ঘরের আসবাবপত্র বছরের পর বছর একই জায়গায় রেখে দিলে ঘরটি একঘেয়ে লাগে। বিধ্বস্ত দেখায় ঘরটিকে। ঠিক যেমন নড়াচড়া না করলে শরীরে জং ধরে যায়, তেমনই অদলবদল না করলে ঘর যেন প্রাণ হারায়। তাই মাঝেমাঝে আসবাবপত্রের অবস্থান পরিবর্তন করলে, নতুন চেহারা পেলে প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে ঘর।
২। আলো-বাতাসের গতিপথে পরিবর্তন: মাঝেমধ্যে সোফা বা খাটের জায়গা বদল করা উচিত। এর ফলে প্রকৃতিক আলো ঘরে আরও ভাল ভাবে প্রবেশ করে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আসবাবের কারণে জানলা আংশিক ঢাকা পড়ে যায়। ফলে বাতাস চলাচলে বাধা পড়ে। অবস্থান বদলালে ঘরের বায়ু চলাচল ভাল হয়।
একই স্থানে দীর্ঘ দিন ধরে ভারী আসবাব রাখা থাকলে নীচে ধু্লো জমে যায়। ছবি: সংগৃহীত।
৩। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হয় ঘর: একই স্থানে দীর্ঘ দিন ধরে ভারী আসবাব রাখা থাকলে নীচে ধু্লো জমে যায়। এতে ছত্রাক জন্ম নেওয়ার সম্ভাবনা থাকে বা পোকামাকড়ের বাসস্থান হয়ে ওঠে। কখনও-সখনও আসবাব সরিয়ে অন্যত্র রাখলে সহজে পরিষ্কার করা যায় ঘর।
৪। ব্যবহারিক সুবিধা বাড়ে: এক জায়গায় বছরের পর বছর চেয়ার-টেবিল, খাট, আলমারি রেখে দিলে বোঝা যায় না এর থেকে সুবিধাজনক সজ্জার উপায় আছে কি না। তাই অবস্থান বদলে যদি বোঝা যায়, নতুন ভাবে রাখলে ডাইনিং টেবিলের পাশে আলো বেশি পাওয়া যাচ্ছে বা সন্তানের পড়ার ডেস্ক আলো বেশি পাচ্ছে, তা হলে সে ভাবেই কিছু দিন সাজানো থাকুক ঘরটি।