Relationship Advice by Katrina Kaif

সম্পর্কের রং হঠাৎ কেন বদলায়? প্রেম অটুট রাখার পরামর্শ দিলেন ক্যাটরিনা

অধিকাংশ প্রেমেরই মৃত্যু ঘটে। অভ্যাসের মোহটুকু কেটে গেলে হাত ছাড়েন একদা পরষ্পরকে ভালবেসে কাছে আসা দু’জন। কিন্তু কেন এমন হয়? কেনই বা সম্পর্কের রং না চাইতেও বদলে যায়?

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১০ মার্চ ২০২৫ ১০:৫৯
অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কইফ।

অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কইফ। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।

প্রেম মন ভাল রাখে। আবার প্রেম সময়বিশেষে মন খারাপও রাখতে পারে। মনখারাপের কুয়াশা যখন প্রেমের জমির দখল নিয়ে বসে, তখন প্রেম মানসিক যন্ত্রণারও কারণ হতে পারে। সেই যন্ত্রণা কখনও সখনও অসহনীয়। প্রেমে থাকা মানুষ দু’টি আচমকাই দিশাহারা বোধ করতে শুরু করেন। ভাল ভাবে দম নেওয়ার জন্য খুঁজতে থাকেন আলো-বাতাস। কিন্তু কুয়াশাচ্ছন্ন প্রেম বেশির ভাগ সময়েই সেই প্রয়োজন মেটায় না। ফলে দম ফুরোতে থাকে প্রেমের! সেখান থেকে প্রেম একেবারে ঘুরে দাঁড়াতে পারে না, তা নয়। কিন্তু অধিকাংশ প্রেমেরই মৃত্যু ঘটে। অভ্যাসের মোহটুকু কেটে গেলে হাত ছাড়েন একদা পরস্পরকে ভালবেসে কাছে আসা দু’জন। কিন্তু কেন এমন হয়? কেনই বা সম্পর্কের রং না চাইতেও বদলে যায়? একটি সম্ভাব্য ব্যাখ্যা দিয়েছেন অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কইফ।

Advertisement
অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কইফ।

অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কইফ। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।

বলিউডের মূল ধারার সিনেমার অন্যতম সফল নায়িকা ক্যাটরিনার জীবনে প্রেম এসেছে বার বার। প্রকাশ্যে আলোচনা হয়েছে সলমন খান, রণবীর কপূরের মতো নায়কের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে । সেই সব প্রেম ভেঙওছে। ক্যাটরিনা নতুন করে প্রেমে পড়েছেন আবার। জীবনসঙ্গী হিসাবে বেছে নিয়েছেন বলিউডের আরও এক অভিনেতা ভিকি কৌশলকে। এই যে একের পর এক সম্পর্ক, তা থেকে তিনি শিক্ষা পেয়েছেন? ক্যাটরিনাকে প্রশ্নটি করেছিলেন বলিউডের পরিচালক প্রযোজক কর্ণ জোহর। জবাবে ক্যাটরিনা বলেছেন, “আমি বুঝতে শিখেছি নির্ভরশীলতাই প্রেমের ঘুণপোকা। নিজের সুখের জন্য যে মুহূর্তে আপনি উল্টো দিকের মানুষটির উপর নির্ভর করতে শুরু করবেন, জানবেন, তাঁর কাঁধে আপনি দায়িত্বের বোঝা চাপাচ্ছেন। সেই বোঝা কোনও না কোনও দিন ভারী মনে হতে বাধ্য। আর সেখান থেকেই সম্পর্কের শেষের শুরু।”

অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কইফ।

অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কইফ। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।

কেন নির্ভরশীলতা সম্পর্ক নষ্ট করে? ক্যাটরিনা বলছেন, “কেউ দিনের পর দিন আপনাকে সুখী করার দায়িত্ব নিতে পারেন না। কোনও না কোনও পরিস্থিতিতে তিনি ব্যর্থ হবেন। কোনও না কোনও মুহূর্তে তিনি আপনার আশা পূরণ করতে পারবেন না। যদি নিজের সুখের দায়িত্ব অন্যের হাতে দিয়ে দেন, তা হলে সেই দায়িত্ব পালন না হলেই আপনি চাপ তৈরি করবেন, অভিযোগ করবেন, হয়তো বলবেন, “আমার এই সম্পর্ক ভাল লাগছে না, তুমি আমাকে খুশি করতে পারছ না। তুমি আমার সুখের পরোয়া করছ না।” আর তখনই সম্পর্ক নষ্ট হতে শুরু করবে।”

সম্পর্কে যাতে এমন পরিস্থিতি তৈরিই না হয়, তার জন্য কী করা দরকার? ক্যাটরিনা বলছেন, “আমার ব্যক্তিগত ভাবে মনে হয়, সবচেয়ে সুন্দর সম্পর্ক সেটিই যেখানে এক জনকে অপরের প্রয়োজন বলে মনে হবে না। যখন দুজনের মধ্যে নির্ভরশীলতা থাকবে না।”

বদলে কী থাকবে? ক্যাটরিনার মতে, “মুগ্ধতাবোধ থাকবে, সম্ভ্রম থাকবে আর থাকবে সাহচর্য। আমার মতে তা হলেই সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হবে।”

Advertisement
আরও পড়ুন