Salt Trick before Washing

মাছ-মাংসের মতোই নুন মাখিয়ে রাখুন জামাকাপড়ে, কাচার আগে এই সহজ টোটকা প্রয়োগ করলে কী ঘটে

এই কৌশল শুনে অনেকেই অবাক হবেন। মাছ, মাংস নুন মাখিয়ে রাখার নেপথ্যে যে বিজ্ঞান আছে, তা না হয় বোধগম্য। কিন্তু জামাকাপড়ে নুন মাখানোর প্রয়োজন পড়ে কেন?

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০২৫ ১৫:০৭
The salt trick you can use in washing machine to retain colour on the clothes

ধোয়ার আগে জামাকাপড়ে নুন মাখাবেন কী ভাবে? ছবি: সংগৃহীত।

মুঠোভরা সাবান দিয়ে জামাকাপড় পরিষ্কার করেন অথচ রং ধরে রাখার জন্য কোনও টোটকাই কাজে আসে না। প্রতি বার ধোয়ার পরেই নিস্তেজ হয়ে আসে রং। ডিটারজেন্টের পরিমাণ যত ইচ্ছে বাড়িয়ে দিন, ফলাফল সেই একই থাকবে। কিন্তু রান্নাঘরের একটি উপাদান এখানে কার্যকরী হতে পারে। পুরোনো, অবহেলিত এক কৌশল, যা জনপ্রিয়তা হারিয়েছে কালে কালে। কিন্তু তা অত্যন্ত সহজ, সরল এক বিজ্ঞান। টোটকাটি হল, কাচার আগে কাপড়ে নুন মাখিয়ে রেখে দেওয়া।

Advertisement

এখন এই কৌশল শুনে অনেকেই অবাক হবেন। মাছ, মাংস নুন মাখিয়ে রাখার নেপথ্যে যে বিজ্ঞান আছে, তা না হয় বোধগম্য। কিন্তু জামাকাপড়ে নুন মাখানো আবার কী?

এই টোটকা কী ভাবে কার্যকরী?

কাপড়ে জমে থাকা সাবান, খনিজ আর ময়লা আলগা করে দিতে পারে নুন। ফলে সাদা কাপড় থেকে ধূসরতা চলে যায়, রঙিন কাপড় নিজের রং ফিরে পায়, আর কাপড়ের উপরের আঠালো পরত ঝরে যায়। সে কারণে টেক্সটাইল ল্যাবেও নুন-জল ব্যবহার করা হয়। কাপড়ে জমে থাকা সাবানের থকথকে স্তর ছাড়াতে আর রং ছড়িয়ে পড়া কমাতে দারুণ কার্যকরী এই পদ্ধতি।

জলের চরিত্র বদলে দিতে পারে নুন। হালকা নোনতা জলে রং কম ছড়ায়, ডিটারজেন্টের পরত শিথিল হয় ও খনিজ আঁকড়ে ধরে থাকতে পারে না। ওয়াশিং মেশিনে ঘুরে ঘুরে নুনের দানা ঘষেমেজে জামা সাফাইয়ের কাজ করে দেয়। ঠিক যেমন বাসন মাজার সময়ে দানাদার স্ক্রাব ব্যবহার করলে ভাল ফল মেলে।

কী ভাবে ব্যবহার করবেন?

ডিটারজেন্ট দিয়ে এক বার ধুয়ে নেওয়ার পর নুনের টোটকা প্রয়োগ করতে পারেন। এক চতুর্থাংশ থেকে অর্ধেক কাপ সাধারণ নুন সরাসরি মেশিনের ড্রামে দিয়ে দিতে হবে। তার পর কাপড় ফেলে দিন মেশিনে। ডিটারজেন্ট ছাড়াই মেশিন ঘুরিয়ে নিতে হবে। আর যদি হাতে কাচার অভ্যাস থাকে, তা হলে এক লিটার ঠান্ডা জলে এক টেবিলচামচ নুন দিয়ে ২০–৩০ মিনিট ভিজিয়ে রেখে ধুয়ে নিন।

বাড়তি কায়দার প্রয়োজন পড়ে না এই কৌশলে। কম পণ্য, কম ঝামেলা, কিন্তু সঠিক সময়ে সঠিক ফল পাওয়া যায়।

Advertisement
আরও পড়ুন