World's Tiniest Pacemaker

বিশ্বের ক্ষুদ্রতম পেসমেকার তৈরি করলেন বিজ্ঞানীরা, চালের দানার মতো আকারের যন্ত্রটির বিশেষত্ব কী?

ছোট একটি চালের দানার মতো আকার। তাতেই পুরে দেওয়া হয়েছে যন্ত্রপাতি। বিশ্বের সবচেয়ে ছোট পেসমেকার তৈরি করে চমকে দিলেন বিজ্ঞানীরা।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০২৫ ১৭:০৮
US researchers develop world\\\'s smallest pacemaker

এত ছোট পেসমেকার কী ভাবে কাজ করবে? কাদের জন্যই বা তৈরি হল? ছবি: সংগৃহীত।

আকার ছোট্ট একটি চালের দানার মতো। তার মধ্যেই দিব্যি ভরে করে দেওয়া হয়েছে সব যন্ত্রপাতি। বিশ্বের ক্ষুদ্রতম পেসমেকার তৈরি করে চমকে দিয়েছেন আমেরিকার নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা। কেন তৈরি করলেন এমন যন্ত্র?

Advertisement

‘নেচার’ জার্নালে এই গবেষণার খবর প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে গবেষকেরা লিখেছেন, সাময়িক ভাবে ব্যবহারের জন্যই এত ছোট পেসমেকার তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে শিশুদের কথা মাথায় রেখেই যন্ত্রটি তৈরি করা হয়েছে। জন্মগত ভাবে হার্টের সমস্যায় ভুগছে, এমন শিশুদের শরীরে সেটি স্থাপন করা সহজ হবে। বড়দের জন্য যে পেসমোর রয়েছে, তা শিশুর শরীরে বসানো যায় না। সে ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারেও সমস্যা হয়। তাই এত ছোট যন্ত্র তৈরির কথা ভাবা হয়।

হৃৎস্পন্দন যদি অনিয়মিত হয়ে যায়, তখন পেসমেকার বসানোর প্রয়োজন হয়। হৃৎস্পন্দন সঠিক ছন্দে রাখার বৈদ্যুতিক যন্ত্রই হল পেসমেকার। হার্টের নিজস্ব পেসমেকার বা এসএ নোড যথেষ্ট পরিমাণে বা গতিতে স্পন্দন তৈরি করতে না পারলে বা হৃদ্পি‌ণ্ডে তড়িৎ পরিবহণের রাস্তা বন্ধ হয়ে গেলে, তখন পেসমেকার বসিয়ে হৃৎপিণ্ডের গতি নির্দিষ্ট মাত্রায় নিয়ে যাওয়া হয়। পেসমেকার স্থায়ী ও অস্থায়ী দু’রকমই হয়। স্থায়ী পেসমেকার তাঁদেরই বসানো হয়, যাঁদের হৃৎস্পন্দন অনিয়মিত হয়ে গিয়েছে বা দীর্ঘকালীন হার্টের সমস্যা রয়েছে। অস্থায়ী পেসমেকার সাধারণত হার্ট অ্যাটাক বা হৃৎস্পন্দন আচমকা খুব কমে গেলে তখন বসানো হয়। প্রয়োজন শেষ হলে সেটি শরীর থেকে বারও করে নেওয়া হয়। কিন্তু এই প্রক্রিয়া জটিল ও সময়সাপেক্ষ।

গবেষক জন এ রজার্স জানাচ্ছেন, ছোট্ট পেসমেকারটি এমন ভাবে তৈরি যে, প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলে সেটি নিজে থেকেই শরীরে মিশে যাবে। অস্ত্রোপচার করে বার করে করার দরকার পড়বে না। শিশুদের ক্ষেত্রে এমন পেসমেকার বসানো সহজ ও নিরাপদ। সাধারণত শিশুদের শরীরে পেসমেকার বসালে তা শিশুর উচ্চতা ও ওজন পরিবর্তনের সাপেক্ষে বদলানোর প্রয়োজন পড়ে। আবার অনেক ক্ষেত্রে বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হৃৎস্পন্দন স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে এলে আর পেসমেকারের প্রয়োজন পড়ে না। তাই বার বার অস্ত্রোপচারের চেয়ে এমন পেসমেকারই নিরাপদ।

Advertisement
আরও পড়ুন