ক্রিসমাস ট্রি চিজ় বল। ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।
বড়দিন, বর্ষপূর্তি, নতুন বছরের শুরু— মাস জুড়ে পর পর পার্বণ। কোনও দিন বন্ধুদের সঙ্গে, কখনও আবার পরিবারের সঙ্গে কাটাবেন। পরিকল্পনা তো সব হয়েই রয়েছে। বাড়িতে খাবার অর্ডার বা রান্না করে পার্টি করার রেওয়াজ বেড়েছে আজকাল। মূল পাতের খাবার যে ভাবেই আয়োজন করা হোক না কেন, আপনি বরং এ বারের পরবে অতিথিদের চমকে দিন বিশেষ কিছু বানিয়ে। বড়দিনের মেনুতে রেখে দিন আস্ত এক ‘ক্রিসমাস ট্রি’!
কেবল অতিথি কেন, বাড়িতে ছোটরা থাকলে, তারাও আনন্দ পাবে। এমন এক গাছ বানিয়ে দিন সকলের জন্য, যা খাওয়াও যাবে। শিখে নিন ‘ক্রিসমাস ট্রি চিজ় বল’। যদিও গাছ কেটে ফেলার বিরুদ্ধে সকলের একত্র হওয়া উচিত, তবু খাবারের টেবিলে এক দিন না হয় নকল গাছ কেটে চেখেই দেখুন।
‘ক্রিসমাস ট্রি চিজ় বল’-এর রেসিপি
উপকরণ
২৫০ গ্রাম মতো ক্রিম চিজ়
২৫০ গ্রাম ফেটা চিজ়
৪ কাপ চ্যাডার চিজ়
২৫০ গ্রাম গোট চিজ়
১ কাপ টাটকা পার্সলেপাতা কুচোনো
১ টেবিল চামচ রসুনগুঁড়ো
২ টেবিল চামচ পেঁয়াজগুঁড়ো
স্বাদমতো নুন
স্বাদমতো গোলমরিচ
অর্ধেক চা চামচ কমলালেবুর খোসার সবুজ অংশ কোরানো (না-ও দিতে পারেন)
এক মুঠো কুচোনো ক্র্যানবেরি
এক মুঠো বেদানার দানা
এক মুঠো পাইন নাট্স
প্রণালী
প্রত্যেকটি চিজ়ই স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখতে হবে, যাতে মিশ্রণ তৈরিতে কসরত না করতে হয়। একটি বড় পাত্রে ক্রিম চিজ়, গোট চিজ় এবং ফেটা যোগ করুন এবং হ্যান্ড মিক্সার দিয়ে মিহি মিশ্রণ বানিয়ে নিন। এর উপর চ্যাডার, রসুনগুঁড়ো, পেঁয়াজগুঁড়ো, কমলালেবুর খোসার গুঁড়ো, পার্সলে, নুন এবং গোলমরিচ যোগ করে মিশিয়ে নিন। শেষে ক্র্যানবেরি মিশিয়ে নিন। তার পর ঢাকনা দিয়ে ৩০-৬০ মিনিটের জন্য ফ্রিজে রাখুন।
এ বার বড় দেখে প্লাস্টিকের মোড়ক নিয়ে তার উপর চিজ়ের এই মিশ্রণটি ঢেলে দিন। চিজ়ের মিশ্রণটি প্লাস্টিকের উপর থেকে মুড়িয়ে নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে আসুন। হাত দিয়ে ‘ক্রিসমাস ট্রি’র আকার তৈরি করুন।
চিজ় বলের উপর থেকে প্লাস্টিক সরিয়ে নিন। কেটে রাখা পার্সলে নিয়ে গাছের চারপাশে আলতো করে চেপে ধরুন, যত ক্ষণ না পুরোপুরি ঢেকে যায়। তার পর উপর দিয়ে পাইন নাটগুলি গোল গোল করে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে বসিয়ে দিন। ফাঁকে ফাঁকে নিজের পছন্দ মতো ডিজ়াইনে বেদানার দানাগুলি চেপে চেপে বসান। শেষে চ্যাডার চিজ় থেকে একটি টুকরো কেটে সেটিকে তারার আকার দিয়ে গাছের ঠিক মাথায় বসিয়ে দিন। তৈরি হয়ে গেল সুস্বাদু ক্রিসমাস ট্রি।