Drinking Water in Space

মূত্র এবং ঘাম থেকে পানীয় জল! মহাকাশে বসে নতুন মাইলফলক ছুঁলেন নাসার বিজ্ঞানীরা

মহাকাশে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে বসে নাসার বিজ্ঞানীরা পানীয় জল সংক্রান্ত গবেষণায় সাফল্য পেয়েছেন। যা মহাকাশ গবেষণাকে আগামী দিনে আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে দিতে পারে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০২৩ ১১:২৬
NASA crew members successfully extract drinking water from urine and sweat.

মহাকাশে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণরত আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন। ছবি: সংগৃহীত।

মূত্র এবং ঘাম থেকে পানীয় জল তৈরি করলেন নাসার বিজ্ঞানীরা। তবে পৃথিবীর মাটিতে নয়। মহাকাশে বসে এই ‘অসাধ্যসাধন’ করেছেন তাঁরা। মানুষের শরীর থেকে নিঃসৃত তরল বর্জ্য থেকে ৯৮ শতাংশ শুদ্ধ পানীয় জল তাঁরা বার করতে পেরেছেন। এই সাফল্যকে নতুন এক মাইলফলক হিসাবে দেখছে নাসা।

মহাকাশে নাসার আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন (আইএসএস)-এ যে মহাকাশচারীরা আছেন, দীর্ঘ দিন ধরেই তাঁরা জলের সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করছিলেন। এই নিয়ে চলছিল নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং গবেষণা। অবশেষে পানীয় জল তৈরিতে সাফল্য মিলেছে। ঘাম এবং মূত্র থেকে পান করার যোগ্য জল বার করতে পেরেছেন তাঁরা।

Advertisement
NASA crew members successfully extract drinking water from urine and sweat.

মহাকাশ স্টেশনে বসে বর্জ্য থেকে পানীয় জল নিষ্কাশন করেছেন বিজ্ঞানীরা। ছবি: সংগৃহীত।

আইএসএস-এর মহাকাশচারীদের প্রত্যেকের দিনে এক গ্যালন শুদ্ধ জল প্রয়োজন হয়। পান করা ছাড়াও শারীরিক ক্রিয়া, খাবার তৈরি এবং অন্যান্য প্রয়োজনে এই জল কাজে লাগান তাঁরা। শারীরিক বর্জ্য থেকে পানীয় জল নিষ্কাশনের ফলে আগামী দিনে মহাকাশের একাধিক অভিযানে অনেক সুবিধা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

নাসা জানিয়েছে, পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ এবং জীবন সুরক্ষা পদ্ধতি (ইসিএলএসএস) ব্যবহার করে বর্জ্য থেকে ৯৮ শতাংশ পানীয় জল নিষ্কাশন সম্ভব হয়েছে। এই পদ্ধতিতে আগামী দিনে খাবার, জল এবং বাতাসও পুনরায় ব্যবহারযোগ্য করে তোলার চেষ্টা চলছে।

আইএসএস হল মহাকাশে ভাসমান একটি স্টেশন, যা পৃথিবীর চারদিকে ঘোরে। ভূপৃষ্ঠ থেকে ৪০০ কিলোমিটার উচ্চতায় এর অবস্থান। রাতের আকাশে পৃথিবী থেকে আইএসএস দেখা যায় ভাসমান একটি আলোর বিন্দু হিসাবে। এই স্টেশনে নাসার মহাকাশচারীরা নানা গবেষণার কাজে নিযুক্ত।

Advertisement
আরও পড়ুন