Mitchell Starc on England Pitch

ইংল্যান্ডের পিচের সমালোচনায় স্টার্ক! ‘এই উইকেটে শুভমনকে বলই করতাম না’, বললেন অসি পেসার

ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজ়ের পিচের সমালোচনা করেছেন মিচেল স্টার্ক। ইংল্যান্ডের পিচকে পাকা রাস্তার সঙ্গে তুলনা করেছেন তিনি। এই পিচে তিনি শুভমন গিলকে বল করতেন না বলে জানিয়েছেন।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০২৫ ২০:০২
cricket

মিচেল স্টার্ক। —ফাইল চিত্র।

ইংল্যান্ডের পিচ দেখে ধোঁকা খেয়ে গিয়েছিলেন আকাশদীপ। ভারতীয় পেসার ভেবেছিলেন সবুজ উইকেট দেখতে পাবেন। কিন্তু সিরিজ়ের প্রথম তিন টেস্টে যে পিচে খেলা হয়েছে তাতে বোলারদের জন্য কিছু নেই। ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজ়ের পিচের সমালোচনা করেছেন মিচেল স্টার্ক। ইংল্যান্ডের পিচকে পাকা রাস্তার সঙ্গে তুলনা করেছেন তিনি। এই পিচে তিনি শুভমন গিলকে বল করতেন না বলে জানিয়েছেন।

Advertisement

প্রথম দুই টেস্টেই ৫৮৭ রান করেছেন শুভমন। তার মধ্যে একটা দ্বিশতরান ও দুটো শতরান রয়েছে। এজবাস্টনে এক টেস্টেই ৪৩০ রান করেছেন ভারত অধিনায়ক। ইংল্যান্ডের পিচে তাঁকে বল করা কতটা কঠিন তা জানিয়েছেন স্টার্ক। একটা পডকাস্টে তিনি বলেন, “ইংল্যান্ডের এই পাকা রাস্তার মতো উইকেটে আমি শুভমনকে বল করতাম না। অবশ্য আমি খুব বেশি খেলা দেখিনি। তবে যতটুকু দেখেছি তাতে মনে হয়েছে, এই উইকেটে ওকে বল করা বোকার মতো কাজ।”

ইংল্যান্ডের উইকেটকে উপমহাদেশের উইকেটের সঙ্গে তুলনা করেছেন স্টার্ক। তিনি বলেন, “ইংল্যান্ডের উইকেটে ঘাস নেই, ভাবতেই পারছি না। সব জায়গায় আলোচনা শুনছি। এই উইকেট অনেকটা উপমহাদেশের মতো। বোলারদের কাছে নরক। এই উইকেটে হয়তো কোনও বাচ্চা ছেলে বল করতে চাইবে।”

নভেম্বরে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া অ্যাশেজ় সিরিজ়। তার আগে কি ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট দেখছেন অসি ক্রিকেটারেরা? স্টার্ক জানিয়েছেন, তিনি খুব একটা না দেখলেও তিন ক্রিকেটার রয়েছেন যাঁরা ইংল্যান্ডের খেলার দিকে নজর রাখছেন। স্টার্ক বলেন, “মার্নাশ, ক্যারে ও স্মিথ প্রতি দিন কফি খেতে খেতে খেলা দেখছে। ওরা নজর রাখছে।”

ভারতের বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডও প্রতি ইনিংসে বড় রান করছে। সেটা কি অস্ট্রেলিয়ার কাছে চিন্তার কারণ? তেমনটা মনে করেন না স্টার্কের স্ত্রী তথা অস্ট্রেলিয়ার মহিলা ক্রিকেটার অ্যালিসা হিলি। তিনিও ওই পডকাস্টে ছিলেন। হিলি বলেন, “এ বার তো অ্যাশেজ় অস্ট্রেলিয়ায়। ইংল্যান্ড তো আর নিজেদের দেশের উইকেটে খেলবে না। ওদের এখানে এসে খেলতে হবে। তাই আমার মনে হয় না অ্যাশেজ়ে অস্ট্রেলিয়ার কোনও সমস্যা হবে।”

Advertisement
আরও পড়ুন